# আশরাফুল ইসলাম ফরাশী, বাগমারা প্রতিনিধি……………………………………………………….
রাজশাহীর রাগমারার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের তালতলীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বারনই নদীর অভয়ারণ্যে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে মাছ চুরি করে ধরা পড়ার পরেও জাল সহ মাছ চোরকে ছেড়ে দিলেন বাগমারার মৎস্য কর্মকর্তা।
এব্যাপারে অত্র এলাকার সাধারণ জনগন এই প্রতিবেদককে জানান, মির্জাপুর গ্রামের তালতলীর জুয়েল ও তার স্ত্রী, সারু সহ আরও কয়েকজন প্রায় ৭ দিন থেকে বারনই নদীর অভয়ারণ্যে প্রকাশ্যে প্রত্যেক দিন ৩ থেকে ৪ মণ মাছ কাউকে না জানিয়ে চুরি করে মাছ মেরে বিক্রয় করে আসছিল। আজ বুধবার এলাকার জনসাধারনের অভিযোগে বাগমারার মৎস্য কর্মকর্তার হাতে নাতে ধরার পড়ার পরেও রহস্যজনক কারণে মাছ চোরকে চুরি করা মাছ এবং জালসহ ছেড়ে দিলেন।
এব্যাপারে এলাকার জন সাধারণ ও সচেতন মানুষ জানান, কি কারণে চোরকে হাতে নাতে ধরার পরও ছেড়ে দিলেন মৎস্য কর্মকর্তা তা সবার অজানা। মৎস্য কর্মকর্তা মোটা ধরণের উৎকোচের বিনিময়ে তাদেরকে (চোর) ছেড়ে দিয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন। সরিষার মধ্যে ভুঁত আছে কিনা সেটা দেখার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জরুরি পদক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
এব্যাপারে বাগমারার মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা গরিব মানুষ তাই ছেড়ে দিয়েছি। এব্যাপারে বাগমারার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে মোবাইল রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।#