মমিনুল ইসলাম মুন......................................................
রাজশাহীর তানোরে অবৈধ স'মিল মালিক আলোচিত বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি রাস্তার ধারের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৭ অক্টোবর বৃহস্প্রতিবার তানোর-তালন্দ রাস্তার পালপাড়া হাজি উসমান স"মিলের সামনে থেকে তাজা দুটি পরিপক্ক মেহেগুনি গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। উসমানের পুত্র গাছ খেকো বাবুল পেশী শক্তি প্রদর্শন করে তার লোকজন দিয়ে এসব গাছ কাটছে। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা গাছ কাটার ছবি তুলতে গেলে বাবুল হোসেন মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে।
এ সময় তিনি বলেন, তাদের নিজের গাছ তার পরেও তিনি সবাইকে বলে কাটছেন। রাস্তার ধারের মেহগুনি গাছ তাদের হয় কিভাবে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন আর আমি বুঝবো তাতে আপনাদের (সাংবাদিক) মাথা ব্যথা কেন ?
স্থানীয়রা জানান,, তানোর-তালন্দ রাস্তার পালপাড়া রাস্তার ধারে স"মিল স্থাপন করে কাঠের ব্যবসা করে আসছেন। হাজী উসমান আলী। ব্যবসা শুরুর পর এলাকার বখাটে, ছিচকে চোর, গাছ খেকো কাঠ ব্যবসায়ী, স্থানীয় বিএমডিএ ও বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে গাছ নিধনের মহোৎসবে জড়িয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে তানোর বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, রাস্তার ধারে রোপণ করা মেহেগুনি গাছ ব্যক্তিগত হবার কথা নয়। তিনি বলেন, গাছ ছোট-বড় যাই গাছ খেকোদের জেল বা বড় ধরনের জরিমানা করা উচিৎ।
এবিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ জানান, রাস্তার ধারের গাছ কাটার কোন অধিকার কারও নেই। যদি কোন কারণে সমস্যা হয় তাহলেও কাটতে হলে প্রকাশ্যে নিলাম দিতে হবে। আমি ছুটিতে আছি তারপরও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানান।
এবিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বন সংরক্ষক মেহেদিজ্জামান জানান, আমি কিছুক্ষন আগেই চান্দুড়িয়া থেকে আসলাম। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিতে বলছি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার লোকেশন ও ব্যক্তির নাম জানতে চান এই প্রতিবেদকের কাছে। সব জানানো হলে ইউএনও জানান ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষন পর পুনরায় ইউএনওর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায়, একটি গাছ কাটা শেষ, আরেকটির ডালপালা সাবাড়। স্থানীয়রা বলছে, রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে গাছ কাটা হলো। কিন্তু যিনি কাটলেন, সেই বাবুলের কোন ব্যবস্থা হল না কেন ?#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর