তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি…………………………………………………………
রাজশাহীর তানোরে কলেজ পড়ুয়া এক জামাইয়ের হাত ধরে শাশুড়ী অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) বারোঘরিয়া মুন্নাপাড়া গ্রামের পরমেজ উদ্দিনের পুত্র সাজিদুল ইসলাম। রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। গত ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরে তারা জামাই-শাশুড়ী পরিচয় গোপণ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।
এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কলেজের সহপাঠীরা তাকে লম্পট আঙ্খা দিয়ে বয়কট করেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সাজিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, বিগত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নিয়ামত উপজেলায় তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে তার স্ত্রী ও প্রবাসী শ্বশুর তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ায় শাশুড়ীর সঙ্গে তার পরোকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তার বিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দেন। তালাক দেয়ার পরেও তার শ্বশুর ফেসবুকে তাকে ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালায়। তার শ্বশুরও (শ্বাশুড়ি) স্ত্রীকে তালাক দেয়। এঘটনায় তাদের মধ্যে মারাত্মক জেদের সৃষ্টি হয়। এজন্য তিনি শ্বাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে শরিয়ত অনুযায়ী বিয়ে করে রাজশাহী শহরে আছেন।
শ্বাশুড়ি মানে মা, তাকে তো বিয়ে করা জায়েজ নয় জানতে চাইলে তিনি জানান, জায়েজ-অজায়েজ বিষয় না। তাদের নামে অপপ্রচার করেছে এজন্য তারা বিয়ে করেছেন। তিনি বলেন, আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি, তাহলে তো সম্পর্ক থাকল না বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়। সে এখন আমার শ্বাশুড়ি না আমার স্ত্রী। কবে কোথায় বিয়ে করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান গত ১০ আগষ্ট বিয়ে করে রাজশাহীতে আছি, আমার শ্বাশুড়ি দুই সন্তানের মা। কোর্টে বিয়ে করেছেন নাকি কাজী অফিসে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন কাজী অফিসে। কোন কাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, এঘটনা অজানা, কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#