আলিফ হোসেন,তানোর.............................................................
রাজশাহীর তানোরের সরনজাই ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ ইমারত আলীর বিরুদ্ধে
জমেছে অভিযোগের পাহাড়। অধ্যক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিগত ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর স্থানীয় সাংসদের কাছে প্রায় অর্ধশতাধিক অভিভাবক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অবগতির জন্য অভিযোগের অনুলিপি অতিরিক্ত সচিব মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, ভাইস- চ্যান্সেলর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উপপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং কলেজ কমিটির সভাপতি বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, অধ্যক্ষ ইমারত আলী পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি ও বিদ্যুৎসাহী সদস্য মনোনিত করে মনগড়া কমিটি গঠন করেন। এবং শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কলেজ উন্নয়নে ডোনেশানের নামে ৫৩ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। একজন উপাধ্যক্ষ, একজন লাইব্রেরিয়ান ও একজন সহকারী ল্যাব নিয়োগ দিয়ে তিনি এসব টাকা আদায় করেছেন। এদিকে স্থানীয় সাংসদ অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে নির্দেশনা দেন। কিন্ত্ত অদৃশ্য কারণে অভিযোগের তদন্ত আলোর মূখ দেখেননি।
স্থানীয়রা জানান, ওই অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন বা সমাধান না হতেই আবারো অধ্যক্ষ নিয়োগ বাণিজ্যে করেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার নীতিমালা লঙ্ঘন ও গোপণে রাজশাহী শহরের একটি কলেজে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্ত্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারী বা লাল ফ্ল্যাগ দেয়া হয়নি। এদিন সৃষ্টপদ পদার্থ, রসায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে একজন করে সহকারী ল্যাব নিয়োগ দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অধ্যক্ষ বলে আলোচনা রয়েছে।
অন্যদিকে এই নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের জন্য কলেজের দাতা সদস্য আকতারুজ্জামানের পুত্র গোলাম রাব্বানী বাদি হয়ে রাজশাহী বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। যাহার মামলা নম্বর ৩৪/২০২৩। মামলায় বিবাদী করা হয় কলেজ অধ্যক্ষ ইমারত আলী, সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও মহাপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এদিকে মামলার শুনানি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত্য নিযোগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশনা গোপণ করে রাজশাহীতে অবৈধভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে তিনি দাবি করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ইমারত আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালতের মামলা বা নিয়োগ স্থগিতের বিষয়ে তাদের জানা নাই। তিনি বলেন, সব নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর