মো: রেজাউল করিম.....................................................................
রাজশাহীর চারঘাট থানা পুলিশের রহস্যময়ী ভুমিকায় নিরহ মানুষের নামে মামলা হয়রানির প্রতিবাদে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর/২২) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নিজের উপর অন্যায়ভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে কথা বলেন চারঘাট উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামের আসরাফ আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম।
সুফিয়া বেগম বলেন ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে চারঘাট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক সোহাইল সহ কিছু পুলিশ সদস্য আমার বসত বাড়িতে গিয়ে দরজা জানালার উপর শব্দ করে আঘাত করতে থাকে তাদের এমন কান্ডে আমরা দরজা খুলে শব্দ করার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা আপনাদের ডেকেছি কেউ বাহিরে না আসার কারণে এমন ভাবে ডেকেছি।
তিনি বলেন আমি ও আমার স্বামী আশরাফ বাহিরে আসা মাত্রই পুলিশ আমাদের টানা হেচড়া শুরু করেন। প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন থানায় যেতে হবে। সুফিয়া বেগমকে টেনে গাড়িতে উঠাতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান পুলিশকে বলেন কোন মহিলা পুলিশ সদস্য ছাড়া তারা কিভাবে একজন মহিলা মানুষকে গাড়িতে নিচ্ছেন। ইউপি সদস্যের এমন প্রশ্নের পরে এস আই সোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের অপর ইউপি সদস্যকে ডেকে একজন মহিলা গ্রাম পুলিশকে নিয়ে আসতে বলেন। স্থানীয়রা জানান মহিলা গ্রামপুলিশ এসে সুফিয়া বেগমকে পুলিশের গাড়িতে তুলে চারঘাট থানায় নিয়ে যান। রাতে স্বামী স্ত্রীকে থানায় নিয়ে গেলেও এর কারণ জানেনা তারা। সকালে তারা থানা হাজত থেকে জানতে পারেন তাদের নামে নুরুন্নাহার নামের একজন মহিলা আমগাছ কাটার অভিযোগ মামলা দায়ের করেছেন। ২৪ তারিখ সকালে তাদেরকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করলে আদালত সুফিয়া বেগমের জামিন মুঞ্জুর করেন।
পুলিশের রহস্যময়ী প্রতিবেদনের কারণে আসরাফ আলীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পরের দিন সুফিয়া বেগম জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে আসলে গ্রামবাসি সহ ৪জন ইউপি সদস্য একত্রিত হয়ে ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। ইউপি সদস্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান আমগাছ কাটার যে অভিযোগ উঠেছে সেটির সাথে আসরাফ পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই। উল্টো এই রহস্যময়ী মামলার বাদি নুরুন্নাহারের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ তুলে বলেন নুরুন্নার ও তার ছেলে এই পরিবারকে অতিষ্ট করে তুলেছে।
ক্ষমতা আর অর্থ দিয়ে তারা পুলিশের সাথে হাত মিলিয়ে এই পরিবারকে হয়রানি করতে বসেছে। এই রহস্যময়ী মামলার সাক্ষীদের রয়েছে নানা অভিযোগ থানা পুলিশ কোন তদন্ত ছাড়া যেই তিনজন ব্যক্তিকে সাক্ষীকরে মামলা রেকর্ড করেছেন তাদের তিনজন জানেনা তাদের কোন মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সেই সাক্ষীগণ উপস্থিত হয়ে বলেন কেউ প্রতিহিংসামুলক আমাদের সাক্ষী করেছেন। কোন পুলিশ তাদের কোন জিজ্ঞাসা করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন কোন পুলিশের সাথে তাদের কোন কথা হয়নি। তারাও এই মামলার বাদি নুরুন্নাহারের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানান।
মামলার বাদি নুরুন্নাহারের ভাইয়ের ছেলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন তার ফুপু একজন ভয়ংকর প্রকতির মানুষ। এই মামলা একটি চক্রান্ত বলে দাবি করেন তিনি। হটাৎ মামলা সাক্ষীদের সাথে কোন প্রকার কথা না বলে কোন তদন্ত ছাড়া নিরহ মানুষদের গ্রেপ্তার মহিলাকে টেনে হিচড়ে সম্মান হানীকরার বিষয় নিয়ে ২৯ অক্টোবর রাজশাহীর পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুফিয়া বেগম। সেই সাথে ভুয়াসাক্ষী তৈরি করে কেন তাদের হয়রানি করা হলো সেটির তদন্ত চেয়ে রাজশাহী রেঞ্জের ডি আই জির নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্ন করেছেন। মামলার সাক্ষীগণ এরই মাঝে এফিডেভিড করে ষ্টাম্পের মাধ্যমে আদালতে লিখিত দিয়েছেন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর