রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বিপদগামী কতিপয় নেতার মদদে গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাযিত্বশীল নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের জিম্মি করে অবৈধ সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে তাদের চরিত্র হনন ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা এবার গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে টার্গেট করে তার চরিত্র হননে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এদিকে জননন্দিত আদর্শিক ও পরিক্ষিত একজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রচার করায় জনমনে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীযরা জানান, এসব অপপ্রচারকারিদের নেপথ্যে রয়েছে, রাতারাতি অঢেল বিত্তবৈভবের মালিক কতিপয় কুখ্যাৎ মাটি বাবা। তাদের ধারণা উপজেলা নির্বাচনে এবারো জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের সমর্থন পাবেন। আর সেটা হলে তার বিজয় প্রায নিশ্চিত। এদিকে বিষয়টি উপলব্ধি করে মাটি বাবার নেপথ্যে মদদে তারা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হযেছে। রাজনৈতিকভাবে জাহাঙ্গীরকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ তারা কুট-কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধুরী ও তার অনুগতদের বিরুদ্ধে একটি সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন যাবত অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধুরীর সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় ঠেকাতে এরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে।তারা সাধারণ ভোটারদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নখাতে ফেরাতে চেযারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমমে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে জড়িয়ে মিথ্যা-ভিত্তিহীন, মনগড়াও মানহানিকর খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এসব খবরে বলা হয়েছে, জমি দখল, অবৈধ পুকুর ভরাট, পাওনা টাকা আদায়ের নামে অর্থ আত্মসাৎ, মাদক কারবারিদের রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রদান, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়ম।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেলেও অপরাধ যেনো থামছেই না তাঁর। অবৈধ পুকুর ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করছেন।অন্যদিকে গোদাগাড়ী এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে মাসোয়ারা নেন তিনি। মাসোহারা না দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ ভয়ভীতি দেখান তিনি। চেয়ারম্যানের বাসায় ভাড়া থাকেন গোদাগাড়ী সার্কেল এএসপি৷ এটার ভয়ও তিনি বিভিন্নজনকে দেখান।চেয়ারম্যানের রাইট হ্যান্ড খ্যাত গোলাম কাওসার মাসুম তেতুলতলা এলাকায় তাঁর নামে পুকুর ভরাট পূর্বক প্লট তৈরি করে বিক্রি করছেন।
এছাড়াও উপজেলার ভেজাল জমি ক্রয় ও বিক্রয় করেন।উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়মের মাধ্যমেও তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। প্রকল্পের আওতায় হওয়া কাজগুলোতে নয় ছয় করে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্থ। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে জনগণের সেবক না হয়ে ভক্ষক হয়েছেন ইত্যাদি নানা অসত্য ও বিভ্রান্তিমুলক অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়, বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, যেখানে বিগত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সুনিদ্রিস্ট একটি অভিযোগও কেউ করতে পারেনি, সেখানে নির্বাচনের আগে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা অবশ্যই উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। কারণ তার বিরুদ্ধে যদি এমন কোনো অভিযোগ থাকতো, তা হলে সেটা এতোদিন তারা করেনি কেন ? রাতারাতি তার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ করা হচ্ছে কার স্বার্থে ? এসব বিষয় অনুসন্ধান করা হলেই থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে ? এর নেপথ্যে কারা রয়েছে। এছাড়াও রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার অনেক আগে থেকেই জাহাঙ্গীর আলম সফল ব্যবসায়ী ও বিত্তশীল। বরং কারা মাদক ব্যবসায়ী ও শূণ্য থেকে অঢেল বিত্তবৈভবের মালিক সেটা গোদাগাড়ীর মানুষের মুখে মুখে আলোচনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় মাদক কারবারিদের আশ্রয়দাতা কিছু প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। পরিষদে দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। ইউএনও আর চেয়ারম্যানের যৌথ স্বাক্ষরে সব কাজ হয়। #