# গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কলিপুর এলাকায় গ্যাসের বেলুন বিস্ফোরণে সাতজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার সহাপানিয়া গ্রামের জলাশ্বরী (৩৫), মাটিকাটা গ্রামের রাজিকুল (৬৫), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার হাজরাপুকুর গ্রামের একরামুল (৫৪), একই উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের রনি (২৫) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ এলাকার হামিম (২০)। এ ছাড়া তানোর উপজেলার বৈদ্যপুর গ্রামের সখিনা (২৫) ও গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলুপুর গ্রামের রায়হান (৩৫) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স আব্দুস সালাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী থেকে আমনুরাগামী একটি অটোরিকশার পেছনে প্রায় ৪০টি গ্যাসের বেলুন বেঁধে নেওয়া হয়েছিল। পথে কলিপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ বেলুনগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে অটোরিকশার ভেতরে থাকা যাত্রীরা আগুনে দগ্ধ হন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের শরীরের বড় অংশে পোড়া ক্ষত রয়েছে এবং তাঁদের অবস্থা উদ্বেগজনক।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশায় অতিরিক্ত গ্যাসের বেলুন বহনের সময় ঘর্ষণ বা আগুনের স্ফুলিঙ্গ থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় অনেক সময় উৎসব বা বেচাকেনার উদ্দেশ্যে এভাবে গ্যাসের বেলুন বহন করা হয়, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি থেকে যায়। তারা বলেন, প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর