নাজিম হাসান……………………………………
শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে বিজয়া দশমীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই রাজশাহী জেলাজুড়ে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্টিত হয়েছে। পঞ্চপ্রদিপ আরতির পর চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন হয়। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই নগরীর পদ্মায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। প্রতিমা বিসর্জনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে। দুপুরের পর মুন্নুজান স্কুল এলাকায় প্রতিমা নিয়ে রাস্তায় সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেওয়া হচ্ছিল। প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতার জন্য রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দলও উপস্থিত রয়ে ছিল।
সময় রীতি অনুযায়ী প্রতিমাকে সাত পাক ঘুরিয়ে তোলা হয় নৌকায়। বাদ্যের তাল ও মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে কিছুক্ষণ নৌভ্রমণ শেষে পদ্মার বুকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবি দুর্গাকে।
বিসর্জন দৃশ্য দেখতে পদ্মাপাড়ে ভীড় করেন অসংখ্য মানুষ। দুপুরে নগরীর পুজো মÐপ থেকে একে একে ঘাটে আসতে শুরু করে প্রতীমা। পরে নৌকায় তুলে দুর্গা মাকে ঘুরিয়ে করা হয় নিরঞ্জন। এর আগে পান্তাভাত খাইয়ে মাকে বিদায় জানানো হয়।
নির্বিঘ্নে বিসর্জন সম্পন্ন করতে মহানগরীর মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হয়।#