প্রেস বিজ্ঞপ্তি: প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরাম (এনবিসিএফ) এবং বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর যৌথ আয়োজনে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সর্প দংশন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং সাপ উদ্ধার ও অবমুক্তকরণ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা। অদ্য শনিবার দুপুর ৩ টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রুয়েট) এর প্রশাসনিক ভবনের ২১৭ নং কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত কর্মশালাটি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সুপার নিউমেরারি অধ্যাপক ড. ফরিদ আহসান, বিশিষ্ট প্রাণীবিজ্ঞানী ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডীন অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন সরদার এবং ধরিত্রি রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মোঃ আফজাল হোসেন।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ নিয়ামুল বারী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ফিরোজ আলী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোনিয়া আখতার ও পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আলী।
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও সর্প বিশেষজ্ঞ মোঃ আবু সাইদ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর কবির।
সভাপতিত্ব করেন রুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল ইসলাম সরকার। উদ্বোধক হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. জুনায়েদ আহমেদ।
আলোচকবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশে বিষধর ও নির্বিষ সাপের ছবিসহ পরিচিতি ও প্রজাতিসমূহ, বিগত ০৩ বছরে সাপেকাটা রোগির সংখ্যা ও পরিসংখ্যান, সাপ কখন ও কেন মানুষকে কামড়ায়, এন্টিভেনমের ব্যবহার ও এর কার্যকারিতা এবং সর্প দংশনের প্রতিরোধ ও সচেতনতা বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়া পরিবেশের জন্য উপকারী প্রজাতির সাপ হত্যা না করে উদ্ধার ও অবমুক্তকরণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
প্রশিক্ষকবৃন্দ সাপ উদ্ধার, হ্যান্ডলিং ও প্রকৃতিতে অবমুক্তকরণ বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এসময় তারা সাপ উদ্ধারে নিজেদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।#