মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়। একই দিন রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এ ছাড়া রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-গুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল। বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন।
নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন। জানা যায়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।