আবুল কালাম আজাদ............................................
পাঁচ দিনব্যাপী শারদ উৎসবশেষে ৬ অক্টোবর বুধবার বিজয় দশমিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব দুর্গাপূজা।
বিসর্জনের দিনে রাজশাহীর দেবালয় মন্দিরে সকাল থেকে শুরু হয় ভক্তদের আরাধনা।দেবী দুর্গার পায়ে ছোয়ানো সিঁদুরে স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে সধবা মেয়েরা।
এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কারণ, দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর।
বুধবার দুপুর ১২টায় নগরীর কুমারপাড়া মুন্নুজান পদ্মাঘাটে মহানগরীর বদ্দা-কালিবাড়ি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিসর্জন কার্যক্রম।
এসময় রীতি অনুযায়ী প্রতিমাকে সাত পাক ঘুরিয়ে তোলা হয় নৌকায়। ঢাক-ঢোল ও বাদ্যের তালে তালে, মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে কিছুক্ষণ নৌভ্রমণ শেষে পদ্মার বুকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবি দুর্গাকে। এসময় প্রতিমা বিসর্জনপর দৃশ্য দেখতে পদ্মাপাড়ে ভীড় করেন অসংখ্য মানুষ।
দুপুরের পরপরই নগরীর পুজো মণ্ডপগুলো থেকে থেকে একে একে ঘাটে আসতে শুরু করে প্রতীমা। পরে নৌকায় তুলে দুর্গামাকে ঘুরিয়ে করা হয় নিরঞ্জন।
এর আগে পান্তাভাত খাইয়ে মাকে বিদায় জানানো হয়। নির্বিঘ্নে বিসর্জন সম্পন্ন করতে মহানগরীর মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, শোভাযাত্রা ও গানবাজনা নিষিদ্ধ ছিলো দেবি বিসর্জন এলাকায়।
সনাতনী ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে আসেন আর স্বর্গে বিদায় নেন নৌকায় চড়ে।
এবার রাজশাহীতে ৪৫০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হয়েছে। এসব মণ্ডপে নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা । এর ফলে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই নিবিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্গা পূজা।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর