মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগরে অবৈধ অনলাইন জুয়া খেলার গডফাদার মোঃ বাহারুল চা দোকান থেকে এখন কোটি-কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। অন্যদিকে ওই এলাকার একাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, অবৈধ জুয়ার গডফাদার বাহারুল দুই বছর আগেও চা দোকান দিয়ে দিনযাপন করেতেন খুবই কষ্টে। হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া বাহারুলের পরিবর্তনে ওই এলাকার মানুষ মনে কৌতুহলের শেষ নেই।
অনুসন্ধানে উঠে আসে উপজেলার ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়নের সীতের ঘাট গ্রামের বাহারুল অবৈধ অনলাইন জুয়া খেলার আড়ালে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে এলাকায় অর্ধ কোটি টাকা দিয়ে জমি কিনে গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন আলিশান বাড়ি। তার ওই অবৈধ অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে ওই এলাকার একাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ।
অন্যদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে প্রশাসনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তার ওই অবৈধ অনলাইন জুয়ার কারবার। ফলে ওই এলাকায় বাহারুল হয়ে উঠেছে অবৈধ অনলাইন জুয়া খেলার গডফাদার।
সরেজমিনে দেখা যায়, আনুঃ ৪০ শতাংশ জমির উপর বাহারুল গড়ে তুলেছেন আলিশান বিলাসবহুল বাড়ি যা তৈরি করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ তিনি কোন কাজ করেনা। তিনি ২ বছর আগেও চা দোকান দিয়ে চা বিক্রি করে ২০০/৩০০ টাকা রোজগার করতেন। সে অবৈধ অনলাইন জুয়া খেলার ছোয়া পেয়ে রাতারাতি হয়ে উঠেছেন কোটি-কোটি টাকার মালিক।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, সারাদিন হাড়ভাঙা কাজ করেও সংসার চালাতে কষ্ট হয়। কিন্তু বাহারুল কি এমন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেলো যে রাতারাতি সে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেল। তারা আরো জানান, তার ওই অনলাইন জুয়া খেলার কবলে পড়ে আমাদের সন্তানেরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সীতের ঘাট গ্রামের ইকরাম মেম্বারের ছেলে ইকবলের চা দোকান নামে একটি দোকানে দিনরাত বাহারুলের নেতৃত্বে অনলাইন জুয়া ও মাদক কারবার হয়। যা সীতের ঘাট গ্রামের ছরোয়ার সরদারের ছেলে শাহিন ও কাপ্তান সরদারের ছেল মামুনের পরিচালনায় চলে অনলাইন জুয়া খেলার আসর।
সূত্রে আরো জানা গেছে, স্থানীয় রাজনৈতিক ও স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশকে মাসিক মাসোয়ারার মাধ্যমে বাহারুল সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছে ভয়ংকর অবৈধ অনলাইন জুয়া খেলার কারবার। এবিষয়ে জরুরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
এবিষয়ে অবৈধ অনলাইন জুয়া খেলার গডফাদার বাহারুল চা দোকান থেকে কোটিপতি হওয়ার কথা স্বীকার করে এবং আগে অনলাইন জুয়া খেলা করতো স্বীকার করে বলেন আগে খেলতাম এখন খেলিনা।
এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলিম বলেন, অনলাইন জুয়া খেলার বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই, এবিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: dainiksobujnagar@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর