1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বিএনপি ক্ষমতায় এলে পদ্মায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হবেঃ বেলাল ই বাকী ইদ্রিশী রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব নির্বাচনে উৎসবের আমেজ, শুরু হলো মনোনয়ন ফরম উত্তোলন বিনা সুদে ঋণ, বিনা মূল্যে শিক্ষা; শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার জামায়াতের ধোবাউড়ায় পারিবারিক কলহে স্বামী খুন, স্ত্রী রাজিয়া আটক   গোদাগাড়ীতে বিসিডিএস নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ২য় খেলা অনুষ্ঠিত রূপসায় বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিকের পক্ষ থেকে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের পাঞ্জাবি বিতরণ মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি বিএনপির প্রেরণাঃ বাঘায় বিএনপি নেতা মামুন সারিয়াকান্দিতে জাসাসের উদ্যোগে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্যামনগরে জামায়াতের বুথভিত্তিক এজেন্ট সম্মেলন

মান্দায় অবশেষে সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
  • ৮৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
আল আমিন স্বাধীন , মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন।
আজ বুধবার একই প্রতিষ্ঠানের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী দোলা আক্তারকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তাকে ঘরে তোলেন। এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ায় ব্যাপক তোলপাড়া শুরু হয়েছে এলাকাজুড়ে।
প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মন্ডলের ছেলে।
অভিযোগে উঠেছে বাবা মুক্তিযোদ্ধা এবং ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ায় সবধরণের অপরাধ করেও পার পেয়ে যান তিনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রিনা আক্তার পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই সময় দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুলকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন উঠেছিল প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেন। পরে ধামাচাপা দিতে পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সে যাত্রায় রক্ষা পান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের সঙ্গে শিক্ষার্থী দোলা আক্তারকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে একাধিক বৈঠকও হয়। বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সংবাদও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আকরাম এসবের তোয়াক্কা না করে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যান। প্রধান শিক্ষকের এসব আচরনের কারণে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়াসহ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মন্ডল এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। এ কারণে বাবার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করেও তিনি পার পেয়ে যান। বারবার ছাত্রী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। প্রধান শিক্ষকের চরিত্রগত সমস্যায় ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা।
স্থানীয় আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্রী দোলাকে প্রধান শিক্ষক আকরামের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের বাসায় তুলে দেন তার অভিভাবকেরা। এর পর থেকে দোলা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। উপায়ান্ত না থাকায় আজ বুধবার তাকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন আকরাম হোসেন।
ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, ছাত্রী দোলাকে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করেছি। তাকে অনেক আগেই বিয়ে করতাম। কিস্তু বয়স সমস্যার কারণে করিনি। আমি একাধিক বিয়ে করতেই পারি। এখানে কারো কিছুই আসে যায় না।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট