নিজস্ব প্রতিবেদক, সাৎক্ষীরা: মানবতার ফেরিওয়ালা আর সেচ্ছাসেবীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বজনপ্রীতি আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় লিপ্ত হয়ে নিজের আখের গোছানো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কৈখালীর মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত দক্ষিণ কৈখালীর রফিকুল গাজীর ছেলে কৈখালী একতা যুব সংঘের নির্বাহী পরিচালক কৈখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
এ যেন এক হরিলুটে মত্ত। অনিয়ম দুর্নীতি করেও কাউকে তোয়াক্কা করার সময় নেই মানবতার মুখোশধারী আসাদের। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে কৈখালীতে আসাদ যেন মানবতার মুখোশের আড়ালে অনিয়ম দুর্নীতির মহানায়ক। স্থানীয়দের অভিযোগ দেশ ও প্রবাসী ছাড়া বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের অসহায় দুঃস্থদের জন্য দেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ থাকলেও চেয়ারম্যান রহিমের দলীয় ছত্রছায়ায় বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করেই চলছে আসাদের সেচ্ছাসেবী মানবতার ফেরিওয়ালার রাম রাজত্ব।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের আস্থাভাজন এলাকার প্রভাবশালী জাফর গাজীর মাধ্যমে আসাদ দেশ বিদেশ ছাড়াও জেলা ও উপজেলা থেকে সরকারি সহায়তা পাশাপাশি এনজিও সংস্থা এবং ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান এই আসাদ কিন্তু মানবিক ফেরিওয়ালার আড়ালে তার স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি অনিয়ম ফাঁস হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মধ্যে অন্যতম অসহায়দের প্রাপ্য সহায়তা যাহা দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও তা দেখা মেলে আসাদের পিতা, স্ত্রী, শাশুড়ি ও বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের ভেতরে আর্থিক সহায়তা বিতরণ করতে যাহা সাধারণ মানুষের ভিতরে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয় এবং আসাদ স্থানীয় প্রভাবশালী জাফর গাজীর সহযোগিতায় তার নানা কৌশল অবলম্বন করে দিনের পরে দিন এমন কর্মকান্ডে লিপ্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, জাফর গাজীর ইশারায় এই অর্থ তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের ভিতরে বিতরণ করা হয় আত্মীয়-স্বজনের বাহিরে চেয়ারম্যান রহিমের রাজনীতিতে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে দেয়া হয় সহায়তা। সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দার মানবিক ও মানবতার ব্যানারে কত বড় ধোঁকা দিয়েছে তা জাতি দেখেছে। পূর্বে যাকে মানবতার মহানায়ক বলে সম্বোধন করা হয়েছিল, তবে বিরাট ধান্ধাবাজ, প্রতারক বলে আখ্যায়িত করছেন আসাদুজ্জামান আসাদের নিজের গ্রামের মানুষ।দেশ প্রবাসী দেশের ধনবান ব্যক্তি কিংবা জনসাধারণ থেকে অর্থের জোগান করে দক্ষিণ কৈখালী একতা যুব সংঘ মানবিক নামধারী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে পেশা হিসেবে ধরেই চলছে আসাদ।
জানা যায়, অর্থ উপার্জনের মত কোন গ্রহন যোগ্য পেশা নেই আসাদের নেই বাবার অর্থ সম্পদ।মানবতার ফেরিওয়ালা সেচ্ছাসেবী ইস্যুকে পুঁজি করে বিভিন্ন সংগঠন হতে অসহায় দারিদ্র পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তার করে নানা রকম অর্থ সহায়তার তদবীর বাণিজ্য করেই জীবিকা নির্বাহ ও বিলাসী চলাফেরা করেন আসাদ।ক্যান্সারের রোগী এবং নানাধরনের দূর্ঘটনার স্বীকার সহ বিশেষ করে অসহায় দারিদ্র পরিবার ছিল আসাদের টার্গেট।
অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে মানুষ বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে আমি কোনরকম অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়।
গ্রামবাসীদের দাবি,জনসেবার নামে এই আসাদে ধান্ধাবাজি মুখোশ উন্মোচন সময়োপযোগী, শ্যামনগরের সচেতন নাগরিকরা জানান যাতে আর কেউ মানবতার ফেরিওয়ালার নামে স্বজনপ্রীতি, অপরাজনীতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে না পারে। সরকার ও প্রশাসনের এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
আলোকিত মানুষ হওয়ার পাশাপাশি আলোকিত মানবতার ফেরিওয়ালা হওয়া জরুরি,এমনটাই দাবী সচেতন মহলের, পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা দায়িত্বশীল বিভিন্ন এনজিও এবং ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সদাই দৃষ্টি কামনা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর