# বিশেষ প্রতিনিধি…………………………………………………………………..
ভোটার হওয়ার পর থেকে নৌকায় ভোট দিয়ে আসছেন উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের রুপজান বেওয়া (৯০)। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়েছেন তিনি। এ কারণে বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে শাকেত আলীর বিরুদ্ধে। পরে পাশের বাসিন্দা তরফ আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বিকার করেছেন শাকেত আলী।
মঙ্গলবার(০৯-০১-২০২৪) কথা হলে রুপজান বেওয়া বলেন, সারা জীবন নৌকায় ভোট দিয়ে আসছি। এবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছি। তিনি ধনদহ-অমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বলে জানান । বিষয়টি জানার পর ছেলে শাকেত আলী বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন ।
অভিযোগ অস্বিকার করে শাকেত আলী জানান, ভোটের আগের দিন স্থানীয় হাশেম আলী তার নিজেরসহ মায়ের ও স্ত্রীর ৩টা স্লিপ দিয়ে যায়। মায়ের স্লিপটা তার কাছে দিয়ে দেন। সকালে ভোট দেওয়ার আগে মাকে বলেন, তোমার যেখানে ভালো লাগে সেখানে ভোট দিও। তখন স্লিপ হারিয়ে ফেলেছে বলে জানায়। এ সময় বলেছি কেন্দ্রে গিয়ে আবার স্লিপ নিয়ে দাওগে। এ কথা বলায় আমার উপর রাগ করেছিল। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আমার নিজের ভোট দিয়ে মাঠে চলে যায়। বাড়ি ফিরে দেখি মা বাড়িতে আসেনি। যে যেহেতু, রাগ হলে আগে থেকেই কাথা-বালিশ নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেত। রাগ কমে গেলে বাড়িতে আসতো। সে কারণে পরে খোঁজ নেয়নি। ভোট দেওয়া না দেওয়ার বিষয় নিয়ে মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেইনি। তার দাবি, কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে অতি রঞ্জিত করেছে।
তরফ আলী জানান, ভোটের দিন মাগরিব নামাজের পরে আমার বাড়িতে আসে। রাতে খাবার খাইয়ে পাশের একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। দু’দিন থেকে আমার বাড়িতে আছে। রুপজান বেওয়া বলেন, ছেলের কথায় ভোট না দেওয়ায় বাড়িতে থাকতে নিষেধ করেছে।
স্থানীয় টিপু সুলতান নামে একজন জানান, যতটা চড়ানো হয়েছে, বিষয়টি ততটা নয়। তার ছেলেই তো তাকে দেখভাল করে। তবে,বয়স হওয়ার কারণে তার রাগটা বেশি হয়েছে। আলম হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর সদ্য নির্বাচিত আ’লীগ দলীয় প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলমকে অবগত করেছেন। তিনি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে বৃদ্ধার জন্য জমি দেখার জন্য বলেছেন।#