বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সড়কে চলচল বিঘ্ন সৃষ্টির প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবি করা হয়েছে। রাস্তার উপরে অবৈধ দোকানের মালামাল,নির্মাণ সামগ্রী ও অন্যান্য জিনিসপত্র রেখে জনসাধারনের চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টির প্রতিবাদে মঙ্গলবার(২০ মে’২৫) শিক্ষার্থীবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনসাধারনের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘হোক প্রতিবাদ ঘরে ঘরে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান সবাই,আসুন না সবাই অমরা সচেতন হই,অকালে আর কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয়’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ওয়ালে এসব কথাও লিখা হয়েছে।
গত সোমবার (১৯ মে’২৫) যাত্রীবাহী বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের একজন নিহত ও দুইজন আহতের ঘটনায় জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে অংশ নেন,বাঘা ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ হাসান, শাহ্দৌলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান প্রান্ত, কামরুজ্জামান কিশোর, সিরাজুম মনিরা ,মাহিম হাসান নূর প্রমুখ।
অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপদ সড়কের দাবি তুলেছেন অনেকেই। জানা যায়, মোটরসাইকেল চালিয়ে বাঘা সদরে গ্রীন হ্যাভেন স্কুলে নার্সারিতে পড়ুয়া ৫ বছর বয়সের মেয়ে উম্মে তুরাইফা খাতুনকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন জাহেদুল ইসলাম (শান্ত) (২৭)। ওই মোটরসাইকেলে ছিলেন শান্তর অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী জেসমিন আক্তারি (২৪)। পথিমধ্যে সকাল পৌণে ৯টায় বাঘা-ঈশ্বরর্দী সড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় বাঘা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী সুপার সনি যাত্রীবাহী বাস-মোটরসাইকেলের সঘর্ষে ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশ বিছিন্ন হয়ে যায় শিক্ষার্থী তুরাইফার ও তার বাবা শান্তর । ডান হাতের হাড় ভেঙে ও মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন জেসমিন আক্তারিও। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল ৫টায় রামেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শান্ত। মা ও মেয়ে রামেকে ভর্তি আছে।
মঙ্গলবার(২০ মে’২৫) সকাল ১০টায় জানাযার নামাজ শেষে শান্তকে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত জাহেদুল ইসলাম (শান্ত) লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ি (জামতলা) গ্রামের বাসিন্দা মালোয়েশিয়া প্রবাসী এজাহার আলীর ছেলে। ভালো পড়া লেখার জন্য মেয়েকে গ্রীন হ্যাভেন স্কুলে ভর্তি করেন।
নিহত শান্তর শ্বশুর জিল্লুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জামাইয়ের মৃত্যুর খবর মেয়েকে সেভাবে জানানো হয়নি। নাতনি তুরাইফা এখানো বুঝে উঠতে পারেনি তার এক পা কেটে ফেলা হয়েছে ও তার বাবা আর পৃথিবীতে নেই। চেতন পেয়ে জানতে চেয়েছে- বাবা কই? বলেছে,মোবাইল দাও দাদীর সাথে কথা বলবো।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর