আশরাফুল ইসলাম ফরাশী, বাগমারা প্রতিনিধি………………………………………….
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেউখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়ে প্রধান শিক্ষক বকুল আলী খরাদীকে অফিস কক্ষে তিনঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। অবশেষে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে শিক্ষার্থীর কাছে থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান তিনি।
বাগমারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক চলতি সালে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য কেন্দ্র ফি-সহ বিজ্ঞান বিভাগে দুই হাজার ২৬৫ টাকা এবং মানবিক বিভাগে দুই হাজার ১৬৫ টাকা নির্ধারণ রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে চেউখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বকুল আলী খরাদী শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে টাকা আদায় করেছে কোন রকম টাকার রশিদ ছাড়া।
জানা গেছে, চেউখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার ৪৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে। এর মধ্যে ২৪ জন পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষক বকুল খরাদী দুই হাজার ২৬৫ টাকার বিপরীতে চার হাজার ১৬৫ টাকা করে আদায় করেছেন।
বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুল গফুর, আব্দুল খালেক ও মোসাদ্দির হোসেন জানায়, ২৪ জন পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এসএসসির ফরম পূরণ করেছে। আর অনেক গরীব ও অসহায় পরিবারের শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষক তাদের ফরম আটকিয়ে রেখেছে। এ কারণে তাদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা আনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চেউখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বকুল আলী খরাদী স্থানীয় গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেতন, সেশন ফি ও ফরম পূরণের জন্য এখন থেকে বিজ্ঞান বিভাগে দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং মানবিক বিভাগে দুই হাজার ৪০০ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে যে সব শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুকতাদির আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সবে মাত্র বাগমারায় যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে এসএসসির ফরম পুরনের নামে কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#