নাজিম হাসান…………………………………………………
রাজশাহীর বাগমারায় শেষ সময়ে এবার ঈদের বাজার জমে ওঠেছে। দোকানীরা যে যার মত পন্যের পসরা সাজিয়ে দোকানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও মনোরম লাইটিং দিয়ে দোকানের সাজসজ্জা বৃদ্ধি করে চলেছেন। সেই সাথে ঈদের কোনাকাটায় কমতি নেই। পরিবারের সদস্যদের জন্য যে যার সাধ্যমত কেনাকাটার জন্য এরি মধ্যে দোকানগুলোতে ভীড় করা শুরু করেছেন।
সরেজমিনে গতকাল রবিবার উপজেলার তাহেরপুর, ভবানীগঞ্জ, মাদারীগঞ্জ, মচমইল,শিকদারী ,আলোকনগর ও হাটপাঙ্গোপাড়া সহ বেশ কিছু হাটাবাজার ঘুরে দেখা গেছে ঈদের কেনাকাটার ধুম পড়েছে। এসব কেনাকাটায় মেয়েরাই এখন বেশি আগ্রনী। তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে পছন্দমাফিক পোশাকা আশাক ক্রয় করছেন। তাহেরপুর পৌর সুপার মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানান, ১০/১৫ দিন ধরে ঈদের কেনাকাটা জম্ ে উঠছে। তার দোকান থেকে শিশুদের পোশাক ও মেয়েদেরে সেলোয়ার কামিজ বেশি বিক্রি হচ্ছে।
একই মার্কেটের জুতার দোকানী জানান, এবার ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন জুতা সেন্ডেল এনেছেন তারা। তার দোকানে লেডিস সেন্ডেলের বেশি মডেল রয়েছে। তবে এবার দাম কিছুটা বেশি বলে জানান দোকানীরা। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জের ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট, আল-আমিন মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটে আলোক সজ্জা করা হয়েছে ঈদ উপলক্ষে। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী জানান, ঈদকে সামনে রেখে তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার দোকানে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাপক কেনাকাটা হচ্ছে। রেডিমেড় ও গার্মেন্টেস সামগ্রি বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে স্বল্পআয়ের লোকজনও ব্যস্ত তাদের সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করছে। তারা এছাড়াও ফুটপাতের দোকানে দোকানে ছুটছেন। ভবানীগঞ্জ হাইস্কুল রোডে রয়েছে এমন ফুটপথের দোকান। এখানে স্বল্পআয়ের লোকেরা ঈদের কেনাকাটা করছেন। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার হাজরাপাড়া মহল্লার আব্দুল এসেছেন এই মার্কেটে কেনাকাটা করতে। তিনি দুই নাতির জন্য পানজাবি ও তার স্ত্রীর জন্য একটি শাড়ি কিনতে এসেছেন। তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম কিছুটা বেশি বলে জানালেন আব্দুল। তবে ঈদুল ফিতরের দিন ঘনিয়ে আসায় প্রতিটি দোকানে বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ সময়ে এসে ব্যাপক হারে ক্রেতার আগমন ঘটেছে।#