বাগমারায় পাশবিক নির্যাতন করে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক
-
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪
-
৭৪
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
# মাহাবুর রহমান মনি,বাগমারা থেকে………………………………………………………….
রাজশাহীর বাগমারায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী পাশবিক নির্যাতন করে স্ত্রীকে খুন করেছে। নিহতের নাম ঝর্ণা আক্তার লিপি (২২)। তিনি উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে রুবেল হোসেনের স্ত্রী।
রোববার (২৮,জানুয়ারী) গভীর রাতে স্বামী রুবেল হোসেন স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার লিপিকে লোহার শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগমারা থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সোমবার সকালে রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এরশাদ আলী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানিয়েছেন।
বাগমারা থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাত বছর পূর্বে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বুজরুককৌড় গ্রামের আলীমুদ্দিনের কন্যার সাথে বাগমারা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে রুবেল হোসেনের (২৮) পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পরে তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে সন্তানও আসে।
বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে রুবেল হোসেন তার স্ত্রী ঝর্না আক্তার লিপিকে নানা ওজুহাতে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত দুই সপ্তাহ পূর্বে ঝর্ণা আক্তার লিপি তার বাবার বাড়ি বুজরুককৌড় গ্রামে চলে যান। পরে স্বামীসহ তার প্রতিবেশীরা আর নির্যাতন করবেনা মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবারো স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রোববার গভীর রাতে স্বামী রুবেল হোসেন স্ত্রী ঝর্না আক্তার লিপিকে লোহার শাবল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করে। এক পর্যায়ে স্ত্রী ঝর্নার চিৎকারে প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে রুবেল হোসেন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঝরনা আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান এবং নিহত ঝর্না আক্তার লিপির লাশটি উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন। ওই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উক্ত ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।#
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ