বাগমারা প্রতিনিধি…………………………………………………………………
প্রার্থীর প্রতি দরদ উৎলিয়ে পড়ায় এক পুলিশ সদস্যের কর্মকান্ডে হতভম্ব হয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণ। পুলিশের এমন আচরণে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটার। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য হয়ে কিভাবে একজন প্রার্থী সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে। পুলিশ সদস্যের স্বজনপ্রীতির ঘটনায় এলাকা জুড়ে সংসয়ের পাশাপাশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সদস্য হওয়ায় সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দিতে পারছেন না। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষায় নিরেপেক্ষ দ্বায়িত্ব পালন করার কথা। কোন প্রার্থী যেন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ না করে সে দিকে খেয়াল করা। সেটা না করে নিজেই ভাংছেন নির্বাচনী আচরণবিধি।
এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই জিলালুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক পাওয়া প্রার্থী তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদকে পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তার সাথে এসআই রাশেদ ছিলেন। সঙ্গীয় অফিসার সহ এমন কর্মকান্ড ঘটিয়েছেন তিনি। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যের একপাক্ষিক আচরণ পুলিশের সততাকে ব্যাহত করবে বলে মনে করছেন অনেকে।
নৌকার প্রার্থী মেয়র আবুল কালাম আজাদকে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই জিলালুর রহমান ফুল দেয়ার সেই ছবি এরই মধ্যে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ছবি নিয়ে বাগমারা জুড়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জণ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এসআই জিলালুর রহমান ২০২২ সালে ২৭ মার্চ তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই মেয়র আবুল কালাম আজাদের ব্যক্তিগত অফিসারের ভূমিকা পালন করতে থাকে। মেয়রের কথার বাইরে গিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন থেকে একটু দূরে সরে যায়। তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর আওতাধিন এলাকায় সঠিক ভাবে জনকল্যাণে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। পক্ষপাতিত্বমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলেন বলেও জানা গেছে।
এমন কর্মকান্ড ঘটানো তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সেই ইনচার্জ এসআই জিলালুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে অন্যরকম আচরণ করেন। পরে বলেন যে আপনার যা খুশি তাই করেন। আর ভাইরাল করে আমার পরিবর্তন করে দেন তো।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর হয়ে পুলিশ সদস্য কাজ করতে পারবে না। আইন শৃংখলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে কেবলমাত্র। নৌকার প্রার্থী কেন কোন প্রার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে পারবে না। এসআই জিলালুর কিভাবে এটা করেছে সেটা আমার জানা নেই। তবে এই কাজ করতে পারবেনা। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#