# বিশেষ প্রতিনিধি………………………………………………….
শনিবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাবার কবরের পাশে শর্মিলী খাতুন মিলি (২৪)কে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার(১৭ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৭টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সে মারা যায়। বিকেলে তার কর্মরত ক্লিনিক থেকে সুপারমাক্স হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, শুক্রবার(১৮ আগষ্ট) সকালে মেয়েটির মরদেহ নিজ বাড়িতে এনে কবর খনন করে দাফনের প্রস্তুতি নেয় পরিবার। এসময় গলাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ দেখতে পান স্থানীয়রা। তাকে নির্যাতন করে মারা হয়েছে কি-না,এমন সন্দেহে পুলিশকে খবর দেন তারা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়। হাসপাতালের ছাড়পত্র ও প্রাথমিক তদন্তে মিল না পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস এর মেয়ে শর্মিলী খাতুন মিলি ঢাকার দোহার থানার “জয়পাড়া ক্লিনিক ’’ এ সেবিকা(নার্স) হিসেবে দুই বছর কর্মরত ছিলেন। সেই ক্লিনিকের ৫ম তলার একটি কক্ষে থাকতেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মান্নান আলী জানান, ৪৪ ঘন্টা পর শর্মিলী খাতুন মিলির দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। শনিবার (১৯ আগষ্ট) ময়না তদন্ত শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। মেয়েটির ভগ্নিপতি মোতালেব হোসেন জানান, বৃহসপতিবার(১৭ আগ্ষ্ট) রাতে মুঠোফোনে ক্লিনিক থেকে খবর দেওয়া হয় শর্মিলী খাতুন মিলি আত্মহত্যা করেছে। রাতেই সেখানে পৌঁছেন তারা। শুক্রবার সকালে মরদেহ নিজ বাড়িতে এনে দাফনের প্রস্তুতি নেন। তবে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই শর্মিলী খাতুন মিলির মরদেহ নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
ক্লিনিকের পরিচালক দেলোয়ার হোসেনের মোবাইলফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলাম। স্টাফের মাধ্যমে জানেন, শর্মিলী গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য ভালকোন হাসপাতালে নিতে বলি এবং বিষয়টি তার ভগ্নিপতি মোতালেবকে মোবাইল ফোনে জানান । বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। #