# নাজিম হাসান............................................
পরিবেশ ভারসাম্য এর জন্য বৃক্ষ নিধন কর্মকান্ড সরকারীভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ঘটছে উল্টোখানি। এক শ্রেণীর অসাধূ কাঠ ব্যবসায়ীর ছাত্র ছায়ায় রাস্তার দু’ধারের বৃক্ষ নিধন করে যাচ্ছে একের পর এক। প্রতিদিনের কাঠের যোগান দিতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে রাস্তার গাছ।
বাগমারা উপজেলা মূলত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। কৃষি এ এলাকার প্রাণ হওয়ায় খাদ্যপণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নিজস্ব পরিচিতি আছে। একসময় বাগমারা ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। কিন্তু বর্তমানে কতিপয় ক্ষমতাবানদের দাপটে বনায়ন হুমকির মুখে।
সরেজমিনে এলাকা সূত্রে জানা গেছে বাগমারা, আত্রাই, মান্দা,দূর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলার শ’তাধিক কাঠ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আসায় বাগমারার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের রাস্তার বড় বড় বাবলা, মেহগনি,শিশুসহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ প্রকাশ্যে রাতে ও দিনে করাত দিয়ে কেটে উজার করছে।
এদিকে উপজেলার তাহেরপুর, গোয়ালকামিদ,হামিরকুৎসা,শিকদারী, শান্তপাড়া, ভটখালী, বারুইহাটি, ভাগনদী, তালঘরিয়া, বীরকুৎসা, বড় বিহানলী,নরদাশ, হাটগাঙ্গো পাড়া, বাইগাছা, আউচপাড়া, মচমইল,বুজরিকলা, মাদারীগঞ্জ,মোহনগঞ্জসহ বিভিন্ন রাস্তার গাছ কেটে প্রতিদিন ১০-১২ট্রাক লোড হয়ে নওগা, রাজশাহী ও নাটোরের বিভিন্ন স মিলে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাকী কাঠ গুলো স্থানীয় ইট ভাটার মালিকেরা স্বল্প দামে ক্রয় করে ভাটা চালুর আগেই মজুদ করে রাখছে। এ বিষয়ে অবিলম্বে বৃক্ষ নিধন রোধ ও গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং প্রশাসনিকভাবে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আশু প্রয়োজন বলে সুধী সমাজ মনে করছে।
এ ব্যাপারে বুধবার বিকালে বাগমারা উপজেলা বন কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর