# আলিফ হোসেন,তানোর………………………………………………….
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে ভোটে কারচুপি, ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এই দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি ভোটে জয়যুক্ত হয়েছি কিন্তু ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। যার যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত আমার নিকট আছে। ভোটের দিন বাহিরের পরিবেশ শান্তশিষ্ট থাকলেও গোদাগাড়ী তানোরের বিভিন্ন ইউনিয়নে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গণের সহযোগিতায় প্রিজাইডিং অফিসারগণ ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করেছে। আমি এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাব্বানী বলেন, কৌশলে প্রিজাইডিং অফিসারগণ ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করেছে, তারা আমার এজেন্টদের নিকট থেকে ফলাফলের পূর্বেই ফলাফল শীটে স্বাক্ষর করে নিয়ে তাদেরকে ভোট গণনার সময় কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ফলাফল স্থগিত করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ভোটের দিনই একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
তিনি আরো বলেন, কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকগণ আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর নির্যাতন শুরু করেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে লাঞ্ছিত করছে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে , মুক্তিযোদ্ধা অফিসে নৌকার সমর্থকগণ হামলা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আমার বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আঘাত করেছে এবং ওই অফিসের চেয়ার, টেবিল পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এসব বন্ধের দাবি জানাচ্ছি, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে গোলাম রাব্বানীর করা সংবাদ সম্মেলনের খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, গোলাম রাব্বানী নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দেন। এমনকি তার ফেসবুক আইডিতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেয়া আছে। তাহলে তিনি যদি আওয়মী লীগের লোক হন তবে কি বিবেচনায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।এছাড়াও এবারের নির্বাচনে দেশের প্রায় সকল মিডিয়ার চোখ ছিল রাজশাহী-১ আসনের ওপর। ফলে নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ ছিলো না।
এছাড়াও সারাদেশের মধ্যে সবচাইতে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ভোট হয়েছে রাজশাহী-১ আসনে। আবার নির্বাচনে যদি কারচুপির কোনো সুযোগ থাকতো তাহলে এমপি তার নিজ উপজেলা তানোরেই কারচুপি করতে পারতেন। সেটা কি হয়েছে ? তারপরেও নির্বাচনে যদি কারচুপির কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত তার হাতে থাকতো তাহলে তিনি সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলেই ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দিতেন। কিন্ত্ত এসব না করে পরাজিত হবার পর এমন সংবাদ সম্মেলন করা কতোটা নৈতিক।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছে, এই সংবাদ সম্মেলনে শুধু প্রার্থী নয় দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হয়েছে। অন্যদিকে ভোটে যদি কারচুপি হয় তাহলে সকল প্রার্থীর অভিযোগ থাকার কথা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হবার কথা কিন্ত্ত কোনো গণমাধ্যমে কি এমন খবর প্রকাশ হয়েছে ? তাহলে কিসের ভিত্তিতে তিনি এমন সংবাদ সম্মেলন করলেন ? এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের নীতিনির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।#