1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ডুমুরিয়ায় অর্থনৈতিক শুমারীতে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম স্থায়ী শুমারী কমিটির অবহিতকরণ সভা সিংড়া শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে বিদেশী মদ ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে যুবমহিলা লীগের নেত্রীসহ আটক ৪ ফলো আপ ঃ বাঘায় আনিসুরকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘটন, দায় স্বীকার রায়হানের রাসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত ৩টি মামলায় ৯ হাজার টাকা অর্থদন্ড হিজবুল্লাহ্ গেরিলার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন’ হামলায় কাপঁলো ইসরাইল রাজশাহীর বাঘায় আনিসুর খুনের আসামি গ্রেফতার,  রহস্য উদঘাটিত রাজধানীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলবে : হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের

নাটোরের লালপুরে ইউএনও’র পা ধরে কেঁদেও আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠাঁই মেলেনি হালিমা–লালন দম্পতির

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩
  • ১৩১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মেহেরুল ইসলাম মোহন, (লালপুর)নাটোর………………………………….

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অসহায় হালিমা বেগম ও লালন সরদার দম্পতির। লালপুর উপজেলায় ভূমিহীনদের কয়েক ধাপে ঘর দেয়া হলেও জোটেনি হালিমা-লালন দম্পতির ভাগ্যে। ঘুরছে দ্বারে দ্বারে।

 

জানা যায়, লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া গ্রামের মা হারা লালন সরদারের সাথে মা-বাবা হারা হালিমা। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় জন্ম নেয়া হালিমা বেগম ছোট বেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে বড় হয়েছে। নিজের আত্মীয়-স্বজন নেই।সুখে দুঃখের খোঁজ কে নিবে এমনভাবেই নিজের কষ্টের কথা বলতে বলতে দু’ চোখের পানি গড়িয়ে বুকের মধ্যে থাকা কষ্টো দুরে ঠেলে দিচ্ছে।

 

এ দিকে হালিমার স্বামীও লালন সরদার ছোট বেলায় মাকে হারিয়ে সৎ মায়ের ঘরেই নানা কষ্টের মধ্য বড় হয়েছে। ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে ১৩ বছর আগে বিয়ে করে হালিমাকে।কখনো ভাড়া , কখনো অন্যের বাড়িতে বসবাস করে। বিয়ের পরে তাদের কোলজুড়ে এসেছে ২ টি মেয়ে। বড় মেয়ে লামিয়া এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ও ছোট মেয়ে সুমাইয়া শিশু শ্রেণীতে পড়ছে।

 

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি ধাপে লালপুর উপজেলায় ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হলেও হালিমার ভাগ্যে জোটেনি সেই ঘর। এ বিষয়ে হালিমা বলেন , শ্বশুরের একটি ছাপরা ঘরের সাথে ৩টা টিন বেঁধে কোন রকমে থাকি। বড় মেয়েকে অন্যের বাড়িতে রাতে রেখে আসি। রাত আসলে মনে হয় আত্মহত্যা করি। আবার ভাবি দুনিয়ায় আমার কেউ নাই, মেয়ে দুটিকে নিয়ে কষ্টের পর সুখ আসতে পারে।

 

লালন সরদার বলেন , আমার জায়গা জমি কিছুই নেই , ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছি। সে কষ্ট বুকে নিয়ে এতিম অসহায়কে বিয়ে করেছি। সরকার ঘর দিচ্ছে, যাদের টাকা আছে ঘর আছে, জমি আছে তারাই ঘর পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউএনও”র পা ধরে আমার বউ কেঁদেছে তার পরেও একটি ঘর দেননিন। আমার মেয়ের পড়াশুনা করার জন্য একটা ঘর দরকার।

 

বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, অসহায় পরিবারের জন্য আগামীতে সুযোগ পেলেই লালন-হালিমা দম্পত্তির জন্য ঘর বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার শামীমা সুলতানার সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি ।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট