# মোঃ ফিরোজ আহমেদ , আত্রাই প্রতিনিধি……………………………..
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সিংসাড়া কছির উদ্দিন দেওয়ান মেমোরিয়াল হাইস্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্য, সভাপতির জাল স্বাক্ষর, শিক্ষক-কর্মচারীদের হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ সহ নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়,লুটপাট সহ বিভিন্ন খাতের ফি বৃদ্ধি করে সেই অর্থ আত্মসাৎ,খাতা, কলম, কাগজ, ভবন নির্মাণ ও সংস্কার, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত কলেজটির অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম রতন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের আয়োজনে গতকাল বিকেলে ওই কলেজ মাঠে এক সুধী সমাবেশ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির এ্যাডহক কমিটির প্রধান মারিয়া সালামের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আত্রাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান এবাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাবেক সভাপতি দেওয়ান মেহেদী তমাল প্রমূখ।
ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকসহ এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম রতন সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। আর আসলেও তার ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে দ্রুত ও চলে যান। কলেজটিকে অধ্যক্ষ বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করেন। তাঁর ইচ্ছে মত প্রতিষ্ঠানের বেতন বৃদ্ধি এবং ফি আদায় করেন।
মাধ্যমিক স্তরের বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রী জানায়,তাদের অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের অর্ধ-বার্ষিক পরিক্ষায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রশ্নপত্র কিনে নিয়ে এসে পরিক্ষা নিয়েছেন। তাদেরকে যা পড়ানো হয়েছে প্রশ্নপত্রে তা কমন ছিলনা। বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে ‘তিনি বলেন,পারলে পরিক্ষা দাও না পারলে চলে যাও।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি দেওয়ান মেহেদী হাসান তমাল জানান, প্রতিষ্ঠানটি আজ এর ঐতিহ্য আর ছাত্র ছাত্রীদের পড়া লিখা হারাতে বসেছে। ছাত্র ছাত্রীরা পড়া লিখার পাশাপাশি অশ্লীল কাজে বেশি লিপ্ত হয়ে পড়েছে। আর অধ্যক্ষ রতন নিজেই যেখানে তার ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন সে প্রতিষ্ঠানে পড়া লিখা কেমন হতে পারে। কারো অবর্তমানে ক্লাস নিতে গিয়ে তার লাইফ হিস্ট্রি, তিনি কতটা প্রেম করেছেন, কিভাবে বিয়ে করেছেন এসব আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
এ ব্যপারে প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি মারিয়া সালাম জানান, অধ্যক্ষ কোন কিছুই ধরাকে সরা জ্ঞান করেন না। নিজেই ইচ্ছে মত সব কিছু করতে চান। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর একটা সমাধান প্রয়োজন।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম রতন বলেন, আমার বিষয়ে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।
জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, আমি এখন পর্যন্ত এবিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#