মোঃ ফিরোজ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি: তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পরও আইনানুগ সময়ে তথ্য না দেওয়ায় নওগাঁ জেলার তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তিন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছেন দৈনিক আজকের বাংলা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সবুজ হোসেন।
জানা গেছে, সাংবাদিক সবুজ হোসেন তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গত ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলগাছী, সাপাহার ও পত্নীতলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। একই সময়ে নওগাঁ সদর, সাপাহার ও পত্নীতলা উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলীদের কাছেও পৃথকভাবে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত ২০ কার্যদিবস অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি। এ অবস্থায় তিনি তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ২৪ অনুযায়ী আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে বাধ্য হন। এর মধ্যে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান ছনির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর, পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিরুদ্ধেও পৃথক আপিল আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নওগাঁ সদর, পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধেও জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আপিল আবেদন করেছেন সাংবাদিক সবুজ হোসেন।
আপিল আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আইন লঙ্ঘন করেছেন, যা স্পষ্টতই আইনের অবমাননা। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও আইন অমান্য করে জনস্বার্থে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মন্তব্য পাওয়া না গেলেও জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন,আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট তিন উপজেলা প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শীঘ্রই আবেদনকারীর নিকট তথ্য প্রদান করবেন। কিছু তথ্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত দেওয়া সম্ভব নয়, সে বিষয়ে লিখিতভাবে জানাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর