ক্যাপশন: বর্ষাকালে মাটির সড়কে চলাচল করা খুবই কষ্টের
# ধোবাউড়া- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি- ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সরকারি ষ্টেডিয়াম চৌরাস্তা (সদর বিলপাড়) ভায়া রুস্তম মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। সড়কটি কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টি হলেই হাঁটু পরিমাণ কাঁদা জমে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়।
সাতারখালী নদীর কুলঘেঁষে সরু সড়কটি। শুষ্ক মৌসুমে সড়কে কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুষ্কর। সড়কটি এই এলাকার জন সাধারণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। বর্ষাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগেণর কষ্টের সীমা থাকে না। প্রায় চার যুগ কাঁচা সড়কটি কোন সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্বশানঘাট থেকে নিতাই নদীর কুল ঘেঁষে পুর্বে ইদু হাজীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো সড়কের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাঁদা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় সাধারন মানুষ স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সবাইকে। বছরের শুষ্ক মৌসুমে সড়কে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদামাটির ভোগান্তির শিকার হতে হয় স্থানীয়র ও পথচারীদের। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি কাদা জমে ভোগান্তিতে পড়েন এ সড়কে চলাচলকারী শত শত গ্রামবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা জুবেদ আলী বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। এ এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না। নিজ চোখে দেখতে হবে। কতটা কষ্টে আছি আমরা। প্রবীন ব্যক্তি হুকুম আলী বলেন, ঠিকমতো হাট-বাজারে যেতে পারি না। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে সড়কের কাদামাটি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর কত কাল এ কষ্ট করতে হবে কে জানে।
ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম( মুকুল) বলেন, রাস্তাটি বিষয়ে জানি চেষ্টা করব সংস্কার করার। উপজেলা সাব- ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান জানান, রাস্তা এলজি ইডির আইডিতে না থাকলে কাজ করার সুযোগ থাকেনা।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর