সাইফুল ইসলাম, শ্যামনগর, সাতক্ষীরার, প্রতিনিধি........................................
শ্যামনগর উপজেলাধীন কৈখালী ভুমি অফিস দীর্ঘ বছর বাদশা গং এর দখলে। উৎকোচ ছাড়া মেলেনা কোন প্রকার ভুমি সেবা। চরম ভোগান্তিতে রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের ভুমি সেবা নিতে আসা গ্রাকহবৃন্দ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় , কৈখালী ভ‚মি অফিস সংলগ্ন ভেটখালী গ্রামের মৃত ...... পুত্র সন্নত গাজী ও তার তিন পুত্র বাদশা , আরাফাত ও ইদ্রিস কৈখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস দখল করে রেখেছে। সরকারী ভাবে দুই জন পিয়ন থাকা স্বত্তেও কৈখালী ভূমি অফিসের নায়েব এম,এ , টি এম, আয়নুল হক বহিরাগতদের প্রাধন্য বেশি দিয়ে তাদের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বাদশা ও আরাফাত ভূমি অফিসের ফাইলের যাবতীয় কাজ করে। ইদ্রিস অফিসের সামনে ওয়াব্দার রাস্তার পাশে হোমিও ডাক্তারের সাইবোর্ড লাগিয়ে ভূমি সেবা মূলক সকল প্রকার অনলাইনের আবেদন করে আসছে। বাইরের কম্পিউটারের দোকান হতে অনলাইন করলে নানা ভাবে হয়রানীর স্বীকার হয় ভূমি সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ।
অপর দিকে বাদশা নাম পত্তন, খাজনাসহ নানা ভূমি সেবায় দালালী করে আসছে। বাদশা গং এর সাথে যোগাযোগ ছাড়া ভূমি অফিসে মিলছে না কোন সেবা।
কৈখালী ভূমি অফিসের নায়েব এম,এ, টি এম, আয়নুল হক শুক্র ও শনিবার সরকারী ছুটির দিন হওয়া স্বত্তেও বাদশাগংদের সাথে নিয়ে দুই দিন সু-কৌশলে তাদের সাথে যোগাযোগকৃত ফাইলের কাজ করে। ভূমি অফিস সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ , মামলা ও নোটিশ বাদশার মাধ্যমে প্রেরন করা হয়। তাছাড়া মামলার তদন্তও নায়েব নিজে না গিয়ে বাদশাকে প্রেরন করেন। যার ফলে নোটিশকারীদের নিকট হতে বাদশা প্রতিনিয়ত মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করে।
বহু বছর ধরে কৈখালী ভূমি অফিসটি বাদশাগংদের দখলে। কৈখালী ভূমি অফিসের পুকুর , পুকুরের মাছ , ধানী ফসলের জমি বাদশা গং ভোগ দখল করে আসছে। তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা যায় , নায়েব এম,এ, টি এম, আয়নুল হক প্রতিদিন দুপুরে বাদশার বাড়ী হতে রান্নাকৃত খাবার খান। বাদশার পিতা সন্নত রাতে নৈশ প্রহরী হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। একই পরিবারের সকল সদস্য কৈখালী ভূমি অফিসে এক একটি দায়িত্ব পালন করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজহন ভুক্তিভোগী বলেন , কৈখালী ভূমি অফিসে সেবা নিতে গেলে আগে বাদশা গং এর সাথে যোগাযোগ করা লাগে। অফিসে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না। নামজারী করা , পর্চা উত্তোলন করা , খাজনা প্রদানকরা এক কথায় সকল সেবা পেতে বাদশা গং এর সাথে যোগাযোগ করতে হয়। আরও জানা যায়, বাদশা অফিসের বড় স্যারের কথা বলে পর্চা দেখানো বাবদ ২০০/৫০০ , নামজারী সম্পন্ন হওয়ার পরে হোল্ডিং তামিল করা বাবদ ৫০০/১০০০ , নামজারী বাবদ ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা , পেরিফেরি ভুক্ত বাজারে দোকান সংস্কারের জন্য হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর বিবিধ নামজারী হলে ১৫/২০ হাজার টাকা দিতে হয় বাদশা গং এর হাতে। অন্যথায় মাসের পর মাস গেলেও সঠিক কাগজ পত্র থাকা স্বত্তে¡ও নামজারী খারিজ করে দেন।
বাদশা ভুমি অফিসে কোন পদে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ঝাড়ুদার হিসাবে আছেন। কৈখালী ভুমি অফিসে বাদশা নামে কেন ঝাড়ুদার আছে কি না জানতে চাইলে শ্যামনগরের এসিল্যান্ড বলেন বাদশা কেন, কোন ইউনিয়ন ভুমি অফিসে ঝাড়ুদার নেই। বর্তমানে চরম ভোগান্তিতে রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নবাসী। এলাকাবাসি ও ভুক্তিভোগীরা বাদশা গং এর অপতৎপরতা বন্ধ, অফিস থেকে বের করে একটি দুর্নীতিমুক্ত অফিস কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর