বিশেষ প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর বাঘায় দলছুট এক বন্যপ্রাণীর দেখা মিলেছে। বন্যপ্রাণীটিকে অনেকেই হনুমান বলে ধারনা করেছেন। উৎসুক জনতা বন্যপ্রাণীটি দেখার চেষ্টা করলেই লাফিয়ে বেড়াচ্ছিল। তবে বন্যপ্রাণী বিভাগ জানিয়েছেন, এটি ‘রেসাস বানর’ ‘হনুমান’ নয়। সোমবার(২৯-০৯-২০২৫) দুপুর থেকে বানরটি এখানে সেখানে বিচরণ করছিল। সর্বশেষ দেখা মেলে উপজেলার চত্বরের ভেতরে।
এমন দৃশ্যের সম্মুখীন হয়ে উপজেলা মডেল মসজিদের এক কর্মী আশরাফ আলী জানান,হঠাৎ করেই তার চোখ পড়ে উপজেলা পরিষদের প্রাচীরের উপরে। তার কাছে দেখতে এটি হনুমান বলে মনে হয়েছে। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। যা দেখে কেউ হনুমান কেউ বানর বলে ধারণা করেছেন।
শান্ত নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী জানান,কখনো প্রাচীরের উপর আবার কখনো নীচে নেমে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়াতে দেখেছেন। তবে বানর না হনুমান তা জানেন না।
বন্যপ্রাণী বিভাগ সুত্রে জানা যায়, রেসাস প্রজাতির বানর- রঙ ধুলো-বাদামী থেকে লালচে-গোলাপী রঙের হয়, যাদের মুখমন্ডলে খুব কম পশম পাওয়া যায় । তাদের পাঁজরের রঙ তাদের মুখের মতোই এবং তাদের মাঝারি দৈর্ঘ্যের লেজ থাকে যার গড় উচ্চতা ২০৭.৬ থেকে ২২৮.৯ মিমি (৮.১৭ এবং ৯.০১ ইঞ্চি) (ফুডেন ২০০০)।
হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীটির ছবি পাঠিয়ে যোগাযোগ করলে রাজশাহী বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, এটি ‘রেসাস বানর’ ‘হনুমান’ নয়। মুঠোফোনে তিনি বলেন,তাদের আবাসিক স্থল ছিল টাঙ্গাইলের মধুপুর ভায়াল বনে। বনগুলো খন্ড খন্ড হওয়ার ফলে দলছুট হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে । নিজ এলাকা ছেড়ে এখানে সেখানে ছুটছে খাবারের সন্ধানে । দলছুট বানরগুলো বিশেষ করে পাথরবাহী ট্রাকে কিংবা অন্য কোন উপায়ে এলাকায় এসেছে।
তিনি বলেন, বিরক্ত না করে মানুষ হিসেবে তাদের প্রতি দয়া দেখিয়ে মুক্ত চলাচলে সহায়তা করতে হবে। তবে খাবার দিলে তারা এলাকা ছাড়বে না।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর