নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় ৯ বছর বয়সী এক বাক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে শিশুটিকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজনরা বলছেন, শিশুটিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শিশুটি দুপুরের পর তার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত ১০টা হয়ে গেলেও সে ফিরে আসেনি। ফিরে না আসায় তার বাবা খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাহেরপুর বাজারের স্থানীয়রা শিশুটিকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে,কলেজ গেটের পাশে বাগানের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এসময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শিশুটি অচেতন ছিল। তার মুখ দিয়ে মদজাতীয় নেশাদ্রব্যের দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এরপর তাকে দ্রুত বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বাক প্রতিবন্ধী শিশুটি বাবা জানান, শিশুটিকে তারা বাড়িতে রাখার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সে কোনভাবেই বাড়িতে থাকত না। তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। কোনো সময় মানুষের বারান্দায় বা সিএনজি স্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে পড়ত। পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জের ধরে তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার ভাই তাহেরপুর চকিরপাড়া ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পুঠিয়া উপজেলার সরগাছি উত্তরপাড়ার নলডাঙ্গা-তাহেরপুর রোডে ঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। ফলে শিশুটি একা হয়ে পড়ে। এবং সোমবার সন্ধ্যায় বাক প্রতিবন্ধী শিশুটি তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। এ সুযোগে বখাটে সংঘবদ্ধ যুবকরা শিশুটিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করার পর ধর্ষণ করেছে।
তাহেরপুরপুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সোহাইল জানান,আমি অসুস্থতার কারনে ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর জন্য অবস্থান করছি। তবে আজকের রাতে আমি তাহেরপুরে ফিরবো। তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা এস আই জাহাঙ্গীর জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবং আপনি যদি কেছু জানেন তাহলে জানান।
এবিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে সোমবার গভীর রাতেই বাগমারা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। রক্তমাখা পোশাকসহ আলামত সংগ্রহ করেছি। এখনও শিশুটির পরিবার অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সাথে কে বা কারা যুক্ত খুঁজে বের করে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর