মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাচন অফিস সাধারণ মানুষের ভোগান্তির আতুরঘরে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি কিংবা পুরোনো কার্ড সংশোধনের জন্য আসা সেবা প্রত্যাশীদের পড়তে হচ্ছে নানান সমস্যায়। মাসের পর মাস ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিশেষ করে ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে অযথা বারবার নতুন কাগজপত্র চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব কাগজ জমা দেওয়ার পরও একেকবার একেক অজুহাত দেখিয়ে আবেদন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে, ওই অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হেলাল উদ্দিন সংশোধনের কাজের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অর্থ দাবি করছেন।
সেবা প্রার্থীদের অনেকে জানান, সরকারি প্রক্রিয়ায় কাজ না হলেও হেলালকে টাকা দিলে সহজেই সংশোধন হয়ে যায়। প্রতিটি ভুলের জন্য প্রায় আড়াইশো টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের মতে, এ অনিয়ম এখন "ওপেন সিক্রেট"-এ পরিণত হয়েছে। তানোর উপজেলার দুই পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দা প্রতিনিয়ত এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। অনেককে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে পাঠানো হলেও সেখানেও নাগরিকদের অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হতে হচ্ছে। আঞ্চলিক কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে গুরুত্ব না দিয়ে অবহেলার সুরে বলেন, “উপজেলাতেই ঠিক করুন।”
ক্ষুব্ধ সেবা প্রত্যাশীরা বলেন, সরকারি অফিসে সেবা পেতে যদি ঘুষ দিতে হয় তবে সাধারণ মানুষের উপায় কী? তারা এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হেলাল উদ্দিনের অপসারণ দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর