# ্তআলিফ হোসেন, নোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি............................................
রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) পিঁপড়াকালনা মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটরের অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় স্কীমের কৃষকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্ত্ত অপারেটর ফারক হোসেন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সভা করেন না। এমনকি কোনো হিসেব-নিকেশ কাউকে দেন না। এসব কারণে অপারেটরের অপসারণ, স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগের দাবিতে কৃষকেরা বিএমডিএ'র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ১৪ ও ২১৫ দাগে গভীর নলকুপ রয়েছে। কিন্ত্ত স্কীমভুক্ত কৃষকের আপত্তি আমলে না নিয়ে, রহস্যজনক কারণে পিঁপড়া গ্রামের আকবর আলীর পুত্র বখাটে ফারুক হোসেনকে অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক সাইফুল, ফারুক, মিজান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার দাপট দেখিয়ে তিনি ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা ও অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায় করেন। চাহিদা মতো টাকা না দিলে জমিতে নিয়মিত সেচ দেন না।
অনেকক্ষেত্রে তিনি জোরপূর্বক কৃষকের জমি মৌসুমি আলু চাষিদের কাছে ইজারা দিতে বাধ্য করেন। আলুচাষিদের কাছে থেকে প্রতি বিঘা জমির ইজারা মুল্য ১৫ হাজার টাকা নেয়া হয়।কিন্ত্ত তিনি জমির মালিককে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। একাধিক কৃষক জানান, গত মৌসুমে ৩২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ হয়েছে। কৃষকের কাছে থেকে প্রতি বিঘায় ৩০০ টাকা ও সম্মানি ভাতা হিসেবে ৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করেছেন অপারেটর ফারুক। তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ অপারেটর ফারুককে অপসারণ করা না হলে, সেচ নিয়ে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। যদি এমনটি হয় তাহলে তার দায় নিবে কে ?
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর ফারুক হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্ত হয়েছে, আর ডিপ সমিতির মাধ্যমে চলছে। একটি মহল তার কাছে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ উঙ্খাপন করছে।
এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারিত সেচ চার্জের অতিরিক্ত টাকা নেয়া যাবে না। তিনি বলেন সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর