মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : বরেন্দ্র অঞ্চলের রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লী কচুয়া গ্রামে অবস্থিত কচুয়া আইডিয়াল কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও কলেজে এখনো আধুনিক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন পাঠ নিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কলেজের একাডেমিক ভবন, আসবাবপত্র, কম্পিউটার ল্যাব, শহীদ মিনার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলের অভিযোগ, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কচুয়া আইডিয়াল কলেজে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা হয়নি। অথচ রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক কম প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে তানোর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে শিক্ষানুরাগী ফুল মোহাম্মদ প্রামানিক এক একর জমির ওপর কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে কলেজে শিক্ষক রয়েছেন ২০ জন, প্রদর্শক ৪ জন, শরীরচর্চা শিক্ষক ১ জন ও কর্মচারী ১০ জন। কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৩০ জন।
স্থানীয়রা জানান, কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাঁচন্দর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা ঘরের কাছেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষকরা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কলেজে নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, খেলাধুলা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, তেমনি সৃজনশীল ও মননশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠছে। দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক পরীক্ষায় কলেজের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদ প্রামানিক বলেন, “বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি একাডেমিক ভবন ও সীমানা প্রাচীর। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মানসম্মত পাঠদানের জন্য এটি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। উন্নত ভবন পেলে আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারব।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর