1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাগমারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২ ফার্মেসিতে জরিমানা রাজশাহীর তানোরে হাটের জায়গা জবরদখল রাজশাহীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যহত দুর্গাপুরে সাঁড়াশি অভিযানে ছাএলীগ নেতা সহ গ্রেফতার ১০জন খুলনায় সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে নবনিযুক্ত উপপরিচালক এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ৩ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ উপলক্ষে বটিয়াঘাটা বিএনপির প্রস্তুতি সভা  পোরশায় বুদ্ধিজীবি দিবস ও মহান বিজয় দিবস /২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্ততি মূলক সভা রূপসায় ঝুলন্ত শিশুর লাশ উদ্ধার, হত্যা না আত্মহত্যা! বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে,বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল হক আজও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায়নি বাগমারায়   ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ির  মুখোমুখি সংঘর্ষে মটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু 

ট্রেনে কাটা পড়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, দায় নিচ্ছেনা কেউ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী……………………………………….
রাজশাহী অঞ্চলে রেললাইনে ট্রেনে কাটা পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে ফলে বাড়ছে অপমৃত্যুর মিছিল। তবে এর দায় নিচ্ছে না কেউ।
ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়ার জন্য কাউকে  দায়ী করার সুযোগ থাকে না,যার কারণে এসব ঘটনার পর রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়ে থাকে মাত্র। এ ক্ষেত্রে ধরে নেয়া হয়, মৃত ব্যক্তি নিজের ভুলেই  মারা গেছেন,এমনটাই জানালেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার।
ট্রেন চলে নিজ সীমানায় নিজের গতিতে।
চাইলেই দ্রুত গতির ট্রেন থামানোরও সুযোগ নেই চালকের। এ কারণে মানুষকে সচেতনভাবে রেললাইন পার হওয়া দরকার।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রেনে কাটা পড়ে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে রেলওয়ে ক্রসিংয়ের বাইরে। অর্থাৎ, সাধারণ রেললাইনের ওপর দিয়ে অসাবধনতায় পারাপারের সময় এসব মৃত্যুর ঘটনা বেশি।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, আনমনে রেললাইন পার হওয়ার কারণেই ঘটছে মৃত্যু। অনেকে আবার আত্মহত্যা করছেন চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পশ্চিমাঞ্চল রেলে ট্রেনের ধাক্কা বা ট্রেনে কাটা পড়ে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহীতে চলতি বছর যত মৃত্যু:-
রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় গত ১০ আগস্ট ট্রেনের ধাক্কায় ১৩ বছর বয়সী মনিকা তাবাসুম চৈতির মৃত্যু হয়। চৈতি নগরীর পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির দিবা শাখার ছাত্রী ছিলেন। অসাবধানতাবশত রেললাইনে উঠে গেলে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা।
এ ঘটনার দুদিন পরে ১৩ আগস্ট রাজশাহী নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বীপ বাবু নামে একজনের মৃত্যু হয়।
নাটোরের লালপুরে ১৫ আগস্ট মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
৮ আগস্ট জয়পুরহাট রেলস্টেশন এলাকায় তেলবাহী ট্যাংকার ও ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
গত ৫ জুলাই নাটোরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মৃত্যু হয়।
৬ জুলাইপাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়  ট্রেনে কাটা পড়েন কাশিনাথপুরের কাবারীকোলা গ্রামের জামিরুল ও একই এলাকার বাবু মুন্সি। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
২৩ জুলাই নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে সম্পা খাতুনের মৃত্যু হয়।
২৩ জুলাই আক্কেলপুরের জামালগঞ্জ রেলস্টেশনে পঞ্চগড় অভিমুখী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
 ১১ জুন নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন উপজেলার জামানগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
 ২১ জুন জয়পুরহাট শহরের ডাকবাংলা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়। ১৯ জুন নওগাঁর আত্রাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় শাহিনুর ইসলামের মৃত্যু হয়। ২৪ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রেনের ধাক্কায় আমেনা বেগমের মৃত্যু হয়।
 ১ মে জয়পুরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। ওইদিন পাঁচবিবি রেওয়ে স্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
 ১৯ মে চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলে ট্রেনের ধাক্কায় রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়।
১৩ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দৌড়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে শাহজাহান আলী বাবু নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় মিজান খাঁ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর রায় পাড়া রেল গেটে ঢাকা মেইল ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান বৃদ্ধা।
এসব ঘটনার তদন্তের প্রতিবেদন সূত্রে জানায় যায়, ট্রেনে কাটা পড়ে বা ধাক্কায় মৃত্যুর যে ঘটনাগুলো ঘটে তা রেললাইনে অসাবধানতাবশত চলাচলের সময় হয়েছে। কেউ বা ট্রেন আসার সময় দ্রুত রেল লাইন পারাপারের সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। কেউ কেউ অভিমানে বা বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যা করেছেন।
রেলওয়ে থানা সূত্রানুযায়ি  ২০২৩ সালে  পাবনা, নাটোর ও রাজশাহীতে ট্রেনে কাটাপড়ে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
আরও পশ্চিমাঞ্চল রেলে মৃত্যু হয়েছে ১৩৬ জনের।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘রেললাইনের ওপরে চলাচল আইনত নিষিদ্ধ, কিন্তু মানুষ সেটা মানে না। যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার কারণ হিসেবে কয়কটি বিষয় উঠে আসছে। এর মধ্যে  আত্মহত্যা অন্যতম। অনেকেই দেখা যায় একেবারে ট্রেন কাছাকাছি চলে আসার আগ মুহূর্তে নিচে ঝাঁপ দেয়।
‘আবার অনেকগুলা ঘটনায় আমরা দেখেছি তাদের কানে হেডফোন ছিল। এ ক্ষেত্রে আমাদের ধারণা হেডফোনের কারণে হয়তো ট্রেন আসার শব্দ শুনতে পায়নি। আবার কেউ কেউ তড়িঘড়ি করতে গিয়েও দুর্ঘটনার শিকার হন।’
তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, ট্রেনতো চাইলেই দ্রুত থামানোর সুযোগ নেই। এ কারণে মানুষের সচেতনভাবে রেললাইন পার হওয়া দরকার।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট