# এম এ হাসান, টেকনাফ: টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড নোয়াখালী (জুম্মা) পাড়া এলাকার মৃত শফির দোকান সংলগ্ন এলজিইডি কানেক্টিভ রোড হতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ফলে খালাখন্দ আর বড় গর্ত সড়ক দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল শিক্ষার্থী, মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে যায়, গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামোর আওতায় অনেক আগে চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটি যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে থাকলেও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। বর্তমানে সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করার পাশাপাশি সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় পথচারী সৈয়দ করিম বলেন, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ সময় রাস্তা যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি রাস্তা নাকি খাল। বর্তমানে তেমন কোন বৃষ্টি নেই এরপরেও রাস্তায় বিভিন্ন গর্ত, খানা-খন্দ দেখা যাচ্ছে। কোন প্রকার গাড়ি চলাচল করা যাচ্ছে না। এমনকি মোটরসাইকেল, বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা, ভ্যান, ছোট ট্রলি চলাচল করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে জরুরি কাজের সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, বাহারছড়া ইউনিয়নের প্রায় রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু জুম্মা পাড়া গ্রামের এই সড়কটি নির্বাচনী প্রতিহিংসার কারনে নির্মাণ হচ্ছে না। ফলে এলাকার শত শত সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে। এমনকি জরুরি কোন রোগী চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নিতে হলে দীর্ঘক্ষ্যণ সময় ব্যয় হওয়ায় রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে উক্ত সড়কের কাজ নির্মাণ করার জন্য বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, বিষয়টি আমাকে এলাকার কোন লোকজন জানায়নি। সরেজমিনে গিয়ে দ্রুত সড়কের কাজ চালু করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর