# সফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি,……………………………………………
চাঁপাইনববগঞ্জে গত এক দশকে শিক্ষ াপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ১১টি প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার ২৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়।
স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেছেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, নাচোল টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, কয়লারদিয়াড় উচ্চ বিদ্যালয়, আটরশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বংপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শিবগঞ্জ মহিলা দাখিলমাদ্রাসা, নামোটিকরী আলিমমাদ্রাসা, কানসাট সাইফুদ্দিন মেমোরিয়াল ফাজিল মাদ্রাসা, বাগবাড়ি দাখিলমাদ্রাসা, শিবগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসা, বেগম নগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, শাহাবাজপুর সোনামসজিদ ডিগ্রিকলেজ, ধাইনগরবালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খোন্দা কামাত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বসন্তপুর দাখিলমাদ্রাসা ও কর্ণখালী আইয্যুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা।।
শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটের সাইফুদ্দীন মেমোরিয়াল ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষেও ছাত্র সালাহউদ্দীন। ২০১৬ সালে ভর্তি হয়েছিল অষ্টম শ্রেণিতে। শুরুতে পুরনো ভবনের শ্রেণিকক্ষে চলত তার পাঠদান। কিন্তু এখন সুরম্য চারতলা ভবনে ক্লাস করে। দুটির পার্থক্য সম্পর্কে তিনি বলেন, মাশাআল্লাহ, এখন মাদ্রাসার পরিবেশ অনেক মনোরম। আর পরিবেশ মনোরম হলে শিক্ষায় মনোযোগও বাড়ে।
২৫৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে একাডেমিক ভবন কাম-পরীক্ষা কেন্দ্র, প্রশাসনিকভবন, ছাত্র ও ছাত্রীনিবাস, কারিগরি ওয়ার্কস পভবন, অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, সীমানাপ্রাচীর, ফটকনির্মাণ ও গভীর নলকুপ স্থাপনসহ অন্যান্য।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, নতুনযে ভবন গুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এখানে সোলার সিস্টেম লাগানো আছে। এ ছাড়াও প্রশস্ত শ্রেণিকক্ষে বাতাস চলাচলের দিকাঁও বিবেচনা করাহয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ছেলেমেয়েদেও জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। আশপাশে বজ্রপাত হলেও ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকবেন। ভবনগুলোতে দৃষ্টিনন্দন টাইলস লাগানো হয়েছে। এতে করে ভবনের সৌন্দর্যও বেড়েছে অনেক গুণ।
তিনি আরোবলেন, সুন্দও ভবন হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেও উপস্থিতি বেড়েছে। এর আগে বিদ্যালয় ফাঁকি দেয়ার যে প্রবণ তাছিলতা এখনকমে গেছে। এতে শিক্ষার সার্বিক মান আরো বাড়বে বলে আমি মনে করি।তিনি বলেন, ভবন গুলোর নির্মাণের সময় কাজের গুণগত মান ও যাচাই কর াহয়েছে সঠিকভাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। ওই কমিটি নির্মাণ কাজের গুণগত মান যাচাই করেছে।#