# মোহাঃ সফিকুল ইসলাম , শিবগঞ্জ, (চাঁপাইনবাবগঞ্জ ....................................
শিবগঞ্জে সামান্য সিএনজি চালক হতে মাদক ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যক্তি হলো শিবগঞ্জ পৌরসভাধীন মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। মাদক ব্যবসা করেই এক সময়ের ভাড়ায় সিএনজি চালক দুলাল বর্তমানে আলিশন বাড়ি, অনেক জমি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন দুলাল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একসময় পুলিশের ডিউটিতে থাকা সিএনজি চালানোর মাধ্যমে পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে দুলালের। এরই সূত্র ধরে থানা পুলিশের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে উঠলে পুলিশের বিশেষ সুবিধা পেয়ে মাদক ব্যবসায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন দুলাল। তার পরিবারের সদস্যরাই দুলালের মাদক কারবারের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে তার সৎ বোন শিউলী খাতুন ও সৎ মা সালেহা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে তার সৎ বোন শিউলী খাতুন জানান, পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে, হয়েছে জিরো থেকে হিরো। এনিয়ে পুলিশকে বারবার অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। উল্টো যারাই মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরকেই মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে ফাঁসনো হচ্ছে।
শিউলী খাতুন আরও বলেন, আমরা পরিবারের সদস্য হওয়া স্বত্বেও তার কথায় আমাদের পরিবারের একাধিক সদস্যকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আমরা তার এসব মাদকের কারবারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে আমাদের নানারকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। এমনকি পুলিশ যেসব মাদকদ্রব্য জব্দ করে তার একটা অংশ কিনে নেয় দালাল-দুুলাল।
শিবগঞ্জ থানার সামনের এক চা দোকানী বলেন, একমাত্র মাদক ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়া দুলালের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দুলাল আলীর তিন ভাই মাহিন্দ্র চালক। একসময় সিনেমা হলে কেক বিক্রি করতো দুলাল। তারপর সে নিজেও ভাড়া গাড়ি চালাতো।মাহিন্দ্র গাড়িতে পুলিশের ভাড়া মারার পুলিশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। তথ্য রয়েছে,দুলালের তিনটি সিএনজি ও তিনটি মাইক্রো, তার স্ত্রীর দশ ভরি স্বর্ণ, বাড়িতে পাঁচটি সিসি ক্যামেরা, এসি-আইপিএস লাগানো আলিসান বিলাস বহুল বাড়ি, রাজশাহী ও গোদাগাড়ীতে রয়েছে জমি।
পঞ্চম শ্রেণী পাশ না করা দুলালের রয়েছে বিশাল বড় মাদক সিন্ডিকেট। তার বিশাল বাহিনীতে থাকা সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে মাদক আমদানী করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। এমনকি দুলাল পুলিশের এসআই সেজে ভোলাহাট ও সোনামসজিদে মাদকদ্রব্য ছিনতাই করতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদক ব্যবসার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন, দুলাল আলী। তিনি বলেন, আমি ইন্ডিয়া থেকে চোখ অপারেশন করে এসে খুব অসুস্থ রয়েছি। মাদকের সাথে আমার কোন সংপৃক্ততা নেই, নেই কোন সিন্ডিকেট। তবে তার আয়ের উৎস ও সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর