চাঁদপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন রূপা বেগম নামে এক নারী। ঘটনার পর গাঢাকা দিয়েছে ঘাতক স্বামী নাছির দেওয়ান। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ধনপর্দি গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
নিহতের বড় সন্তান রবিউল ইসলামের (১৩) অভিযোগ, তার বাবার হাতেই খুন হয়েছেন মা রূপা বেগম (৩২)।
সে আরো জানায়, তার মা পাশের মুন্সিরহাট সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তির হোটেলে রান্নাবান্নার কাজ করতেন। এ নিয়ে তা@দের সংসার চলত। মাত্র সাত শ টাকায় ভাড়া নিয়ে গত মাসের ১৭ তারিখে নতুন বাসায় ওঠেন রূপা। তবে রাজমিস্ত্রি বাবার সঙ্গে সাংসারিক ঝামেলা থাকার কারণে তাদের ছোট দুই ভাইকে নিয়ে মা আলাদাভাবে বসবাস করতেন।
বাড়িওয়ালা ফাতেমা বেগম জানান, এ মাসেই রূপার অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা ছিল। স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা ছিল না বলেও জানান তিনি।
চাঁদপুর সদর উপজেলার খেরুদিয়া গ্রামের পানাউল্লাহ দেওয়ানের ছেলে নাছির দেওয়ানের সঙ্গে ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় রূপার। এরই মধ্যে তাঁদের দুটি সন্তান জন্ম নিলেও স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ছিল না। ফলে তারা দুজনই আলাদা বসবাস করতেন। ঘটনার রাতে কোনো একসময় ধনপর্দি গ্রামের ভাড়া বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায় নাছির। এ সময় তাঁদের সন্তানরা কেউ কাছে ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো একসময় দুজনের ঝগড়ার জের ধরে নির্মম হত্যার শিকার হন রূপা। শয়নকক্ষের বিছানায় গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকে। স্ত্রীকে হত্যা করে দরজা খোলা রেখেই ঘাতক স্বামী গাঢাকা দেয়।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সিআইডি, পিবিআই, গোয়েন্দা এবং থানা পুলিশ। ক্রাইসসিন থেকে তারা নানা আলামত সংগ্রহ করে। ঘাতককে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহীউদ্দিন জানান, ঘাতক যেখানেই পালিয়ে যাক- পুলিশের হাতে তাকে ধরা পড়তেই হবে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর