বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চলনবিলের পতন মুখ, বড়াল নদীর পতন মুখ, এবং গোহালা নদীর পতনমুখের মোহনা বুড়ি পোতাজিয়া নামক যে স্থানে “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ” এর ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রস্তাব হয়েছে। এই মোহনায় ৯-১৪ মিটার উঁচু করে ১০০ একর বিল ভরাট করে ক্যাম্পাস করা হবে বলে জানা যায়। এখানে ক্যাম্পাস নির্মাণ হলে চলনবিল এলাকার ১০টি উপজেলার প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ ও অর্থনীতি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। শুধু তাই নয়, চলনবিলের সাথে সম্পর্কিত ৬টি জেলার ৩৬ টি উপজেলাতে এর প্রভাব পড়বে। আর এই চলনবিল রক্ষায় সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বুড়ি পোতাজিয়ার পরিবর্তে অন্যত্র রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য রাজশাহীর বাঘায় স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাঘা উপজেলা শাখা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মাননীয় শিক্ষা উপেদষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাম্মী আক্তারের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বুড়ি পোতাজিয়ার পরিবর্তে অন্য কোন বিকল্প স্থানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হোক। তাহলে চলনবিলও রক্ষা পাবে আর আমাদের প্রাণের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থায়ী ক্যাম্পাস পাবে। চলনবিলের পরিবর্তে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আমরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই, আবার চলনবিলও চাই।
ইউএনও স্মারকলিপি গ্রহণ করে জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাঘা উপজেলা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডঃ আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হামিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) আমজাদ হোসেন, আড়ানী পৌর-আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মাসুদ, রানু আক্তারী, মর্জিনা বেগম, মোবারক হোসেন, আসাদুজ্জামান তুফান মহাসিন আলী, হামিদ মিঞাসহ বাপার বিভিন্ন কমিটির সদস্যবৃন্দ।#