1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা সভা  ধোবাউড়া নিতাই নদ থেকে উত্তোলনকৃত ৬ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জে একাত্তর টিভির জন্মদিন পালন সিদ্ধিরগঞ্জ  পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ৩ মাদককারবারি কে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামী টাঙ্গাইলে গ্রেফতার তানোরে রাস্তা উন্নয়নের নামে লুটপাট: মেম্বারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ যাকে ধানের শীষ প্রতিক দেওয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করবো – জি.এম.সুমন মুন্সি আর্থিক সংকটে অনিশ্চয়তায় জাবি শিক্ষার্থী গরিব মেধাবী সুমাইয়ার লেখাপড়া  তানোরে সিগারেটের অতিরিক্ত দাম, বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ভোক্তারা ঠকছেন পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ চালক নিহত

চরম অর্থাভাবে বন্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাচোলের ইলামিত্র পাঠাগার

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ১১২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ………………………………………..

১৩ অক্টোবর সল্প পরিসরে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো।

 

এই নেত্রীর স্মৃতি ধরে রাখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় নির্মিত ইলামিত্র পাঠাগার ও সংস্কৃতি কেন্দ্রটি টিম টিম করে কোনমতে চললেই বর্তমান মানে টাকার অভাবে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।

 

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অর্থায়নে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর রেল বাজারে পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়। এ পাঠাগার থেকে আদিবাসী শিক্ষার্থীসহ এলাকার ছোটবড় সবসই বই নিয়ে পড়তেন। কিন্তু এখন সেটি টাকার অভাবে প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ আছে।

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঠাগারের ঘরটি নির্মিত হয়েছে বটগাছের নিচে। দীর্ঘদিন ধরে পাঠাগারটি বন্ধ থাকায় প্রবেশপথ  আগাছায় ভরা। দেখে মনে হয় অনেকদিন ধরে কারো পড়েনি। আরেকটু এগোতেই দেখা গেলো দরজায় লাগানো তালাতেও জং ধরেছে। ঘরের তালা খুলতেই দেখা গেলো বই আর চেয়ার টেবিলে পড়েছে ধুলার আস্তরণ।

 

জানা গেছে, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে পাঠাগারটি বন্ধ। পাঠাগারটিতে স্থানীয় আদিবাসি শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হতেন।

 

সরণী ওঁরাও নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাঠাগারটিতে অনেকগুলো বই ছিলো। এখন তেমন বই নেই। তাই পাঠাগারে কেউই পড়তে আসেনা। নতুন নতুন বই আসলে,আমরা অনেকে পড়তে যাবো।’

 

হিংগু মুরমু নামের আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বেশির ভাগ লোকজনই গরিব। অভাব–অনটনের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা হয় না। এসব শিক্ষার্থীকে সহায়তার জন্য পাঠাগারে পাঠ্যবইও রাখা আছে। বই নিয়ে পড়ে পরীক্ষা শেষে ফেরত দিয়ে যেতো তারা। পাঠাগার বন্ধ থাকায় সে সুযোগ মিলছে না।’

 

স্থানীয় সাংবাদিক সাজিদ তৌহিদ বলেন, ‘প্রশাসনের দেওয়া আর্থিক সহায়তায় পাঠাগারটি পরিচালিত হয়। কিন্তু গত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাঠাগারের কার্যক্রম এখন বন্ধ। এ ছাড়া অনেক বই পরে আছে পাঠকের কাছে।’

 

পাঠাগারের সভাপতি শ্রী বিধান সিং বলেন, ‘পাঠাগারে সব রকমের বই আছে। এখান থেকে বই নিয়ে গিয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। যার কারণে তাদের বই কেনার জন্য ভোগান্তি পহাতে হয় না। এর আগেও দুইবার তহবিল বন্ধের কারণে পাঠাগারের কার্যক্রম থেমে যায়। সঠিক সময়ে টাকা না পাওয়ায় পাঠাগারে লোক রাখতে পারিনা। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এ পাঠাগারটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।’

 

বিধান সিং পাঠাগারের সংকটের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘ঘরটির সামনে একটি গর্ত আছে। জায়গটিতে পানি জমে থাকে। পাঠাগারে টয়লেট থাকলেও পানির ব্যবস্থা নাই। গরমের সময় লোকজন আসে, কিন্তু ফ্যানের (বৈদ্যুতিক পাখা) ব্যবস্থা নাই।’

 

নাচোল উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাইমেনা শারমীন জানেনই না ইলামিত্রের নামে নেজামপুরে একটি পাঠাগার আছে। পাঠাগারটির সার্বিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। আর কথা বলতে চাননি এ বিষয়ে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট