গোলাম রব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ…………………………………………………………
গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ছোট ভাইকে হয়রানি ও পরিবারসহ বাড়ি-ঘর ছাড়া করার অভিযোগ ওঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সদর উপজেলার ঘোষেরচর উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত. মিন্টু শেখের ছেলে মোহাম্মদ মজমুল হুদা ওরফে লিপন শেখ এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে মজলুম হুদা লিপন শেখ বলেন, আমি একজন সার্জেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে চাকরি করেছি।২০২২ সালের ১১ নভেম্বর চাকরি থেকে আমি অবসর গ্রহন করি। এরপর থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে আমার গ্রামের বাড়ি ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামে বসবাস করছি।এরমধ্যে আমি দেখতে পাই আমার বড় ভাই খোকন শেখ আমার জায়গার কিছু অংশ জুড়ে বিল্ডিং এবং একটি ঘর নির্মাণ করেছেন। অপরিকল্পিত ভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করার ফলে ওই বিল্ডিং-এর উত্তর পাশের্^ অর্থাৎ পিছনের অংশে অন্যান্য শরীকদের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
বড় ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাকে সদুত্তর দিতে পারেননি। অমি কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে বিষয়টি লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানাই। ২০২৩ সালের ৩ জুন লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ কালু’র নেতৃত্বে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সালিশী বৈঠক হয়।ওই বৈঠকে সালিশীগণ বড় ভাই খোকন শেখকে আমার জায়গার মধ্য থেকে স্থাপনা সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত দেন। এরপর থেকে আমার বড় ভাই তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে দিয়ে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে হয়রানি করে চলছে।খোকন শেখের ছেলে রাজু শেখ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার মেয়েদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও উত্যাক্ত করে।
হয়রানি ও মামলার ভয়ে আমি বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়েগ পালিয়ে বেড়াচ্ছি। মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রেহায় পেতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদস্য লিপনের মা রিজিয়া বেগম, স্ত্রী ইসমত আরা মনি, ছোট ভাই সোবহান মাসুদ সহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।#