প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ১০:৩৬ এ.এম
গর্বিত পিতা আবুল হোসেন

মাসুদ রানা, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ মোঃআবুল হোসেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার পুরইল গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রীর নাম মোসাঃ সখিনা খাতুন। আবুল হোসেন ও সখিনা খাতুনের ৭ ছেলে ৩ মেয়ে মোট ১০ সন্তান। ৭ ছেলে কোরআনের হাফেজ এদের মধ্যে মওলানা ১জন ও আলেম ১ জন , ৩ জন ইসলামি বক্তা হয়েছেন, দুই ছেলের স্ত্রী হাফেজা, এক মেয়ে হাফেজা, ৩ জামায় হাফেজ মুফতি মাওলানা ও বক্তা, এক নাতি হাফেজ, ১ নাতনি হাফেজা। সোমবার দুপুরে পোরশা মিনা বাজার এলাকায় একান্ত সাক্ষাতে মোঃ আবুল হোসেন এ তথ্য জানান।
সন্তানদের পড়াশুনা করাতে তারা স্বামী স্ত্রী দুজনকে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। শুরুটা ভালই ছিল নিজের একটি বেকারির (রুটি বিস্কুট তৈরীর কারকানা) ফ্যাক্টরি ছিল সেই ব্যবসায় লস হওয়ার পরে অন্যের ফ্যাকটরীতে কাজ করেছেন, আরও অনেক কাজ করেছেন। অনেক সময় অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করেছেন। অতীতের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে ছলছল নয়নে কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন প্রতিবেশী অনেকেই সহযোগিতা/ সহায়তা না করে বরং ছলেদের তাদের বাড়ীতে কাজ করতে ছাগল চড়ানোর গরু দেখভালের প্রস্তাব দিয়েছিল। কষ্টে থেকেছেন কিন্তু কোন সন্তানকে কারো বাড়িতে কাজে দেননি। জাগির দিয়েছিলেন বিভিন্ন এলাকায় , ঈদের সময় নতুন পাঞ্জাবি বা কাপড় কিনতে পারেন নি। শতকষ্ট উপেক্ষা করেও সন্তানদের কোরআনের হাফেজ করেছেন।
পরিশেষে আনন্দ অশ্রুতে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন আমি আর কিছু চাইনা, আল্লাহ আমার সন্তানদের সম্মান মর্যাদা দিয়েছেন। আমার তিন ছেলে বক্তা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আল্লাহ ও নবী রাসুল সম্পর্কে মানুষের মাঝে আলোচনা করছে আমি খুব খুশি।
আল্লাহর রহমতে আবুল হোসেনের সুদিন ফিরেছে সব ছেলেরাও বিভিন্ন মাদ্রাসা মসজিদে চাকুরী করছেন বক্তা হয়েছেন। বিয়ের পরেই স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঠিক করেন তাদের সন্তানকে কোরআনের হাফেজ করবেন এবং আল্লাহর নিকট তাদের মনের বাসনা বলে দোয়া প্রার্থনা করতেন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর