1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডাঃ মিজানুর রহমানের কান্ড! 

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:                                                খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মিজানুর রহমানের কান্ড দেখে সবাই হতভম্ব।

জানা গেছে, কোন অনুমতি ছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক, শিক্ষা ডাক্তার মিজানুর রহমান ও তার লোকজন ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সে অনধিকার প্রবেশ করে। ফলে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চুক্তি, ভিত্তিক চাকরি করা হুসাইন সরদার, ডাক্তার মিজানুর রহমানকে স্যার না বলায় বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ তুলেছেন ভিকটিম নিজেই। রোববার ১৩ এপ্রিল সকাল আনুঃ ৯ টার সময় ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটেছে।

ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মিজানুর রহমান (শিক্ষা) ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রবেশ করেন এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিসের দিকে আসতে থাকলে দূর হতে হুসাইন সরদার অফিস সহায়ক বিষয়টি নজরে নিয়ে অফিসের অন্যদেরকে বলেন মিজান স্যার আসছে যে কথাটি ডাক্তার মিজানুর রহমান শুনতে পান । কিন্তু ডাক্তার মিজানুর রহমানের  আক্রমণের মূল কারণ  ছিল, তাকে স্যার বলা হয়নি কেন। এমন অভিযোগ তুলে অফিস সহায়ক হুসাইন সরদার-কে  ডান কান বরাবর চড়-থাপ্পড় মারে ডাক্তার মিজানুর রহমান। শুধু ডাক্তার মিজানুর রহমান চড় থাপ্পড় মেরেই থামেনি ডাক্তারের সাথে থাকা অনেকেই চড়, কিল, ঘুসি মারতে থাকে এক পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত স্টাফরা ডাক্তার মিজানুর রহমান কে ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাদের ওপরও চড়া হয় ওই ডাক্তার মিজানুর রহমান। তারপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাক্তার মৃময় কে ৬/৪/২৫ ইং তারিখের একটি ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে রোগীর উপর ওষুধ নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে এমন কথা বলে ধমকাতে থাকে ডাক্তার মিজানুর। এ সময় ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জেসমিন আরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য ডাক্তার মিজানুর রহমানকে তার অফিস কক্ষে বসতে বলেন, এমন কথা বলাতে ডাক্তার মিজানুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার জেসমিন আরার উপর তুই, তুকারি করে দেখে নেওয়ার  হুমকি প্রদান করেন।আহত হুসাইন উপজেলার দামোদর গ্রামের শাহিন সরদারের ছেলে।

এবিষয়ে ফুলতলা উপজেলায় কর্মরত ডাক্তার জেসমিন আরা বিস্মিত হয়ে বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য সেবা শাখায় তার কোন কাজ নেই। তবে কেন সরকারী অফিস সময়ে ডাক্তার মিজানুর রহমান প্রবেশ করলো যেহেতু সে নিজে ও একটি অফিসে বা মেডিকেল কলেজে কর্মরত।

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী দামোদরের মাসুম সাংবাদিকদের ক্যামেরায় বলেন, ডাক্তার মিজানুর রহমান অনিয়ম করেছে যা তার থেকে আমরা আশা করি না। ডাক্তার মিজানুর রহমানের ব্যাপারে তার এলাকার অনেকেই বিরুপ বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ফুলতলা উপজেলা সহ অত্র এলাকায় এ ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে কেননা ডাক্তার মিজানুর রহমান চিকিৎসা জগতে একজন সেবকও বটে। চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর কামিয়াবী হয়ে ওঠাই হল ডাক্তারের একমাত্র কাজ। যেখানে ডাক্তার মিজানুর রহমান তার পরিচয় দিয়েছেন ভিন্ন যার বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকাকালীন সময়ে এমনই বিশৃঙ্খলা বা মারধর করার অভিযোগের তথ্য রয়েছে যা সকল শিষ্টাচার বহির্ভূত।

এ ব্যাপার নিয়ে ডাক্তার মিজানুর রহমানের নিকট মুঠোফোনে কল করা হয় কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। ডাক্তার মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত নম্বরটিতে কল করলে অন্য একজন রিসিভ করে বলেন, তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন। উক্ত ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক দলের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন যারা এ বিষয়ে নিয়ে দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে সুস্থ বিচার দাবি করেছেন।

এব্যাপারে আহত হুসাইনের পিতা বাদি হয়ে ডাক্তার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিল্লালের মাধ্যমে জানা যায় তিনি বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি মামলার তদন্তকারী অফিসার শফিকুলের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট