খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ বছরের পথচলায় প্রথমবার নিজস্ব একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। যা আজ ২৫ জুন (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৮৬তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বিকাল ৩টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনস্থ উপাচার্যের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান উপাচার্যের বিশেষ উদ্যোগ ও সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবারই প্রথম ৫ বছর (২০২৫-২০২৯) মেয়াদি এ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হলো। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রণয়নকৃত এ মাস্টারপ্ল্যানে ১২টি লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- শিক্ষণ-শেখানো এবং মূল্যায়নের সাথে সম্পদের সমন্বয়, নকশা-ডাউন পদ্ধতি অনুসরণ করে পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা, একাডেমিক এবং নন-একাডেমিকদের পেশাগত উন্নয়ন, স্বীকৃতি এবং পুরস্কার, শিক্ষার্থী সাপোর্ট সার্ভিসেস বৃদ্ধি, স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন স্কুল প্রতিষ্ঠা, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এন্ড সার্ভিসেস, প্রোগ্রাম লেভেল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান, পারসন উইথ বেঞ্চমার্ক ডিসঅ্যাবিলিটি, গবেষণা ও উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিকীকরণ ও গ্লোবাল এনগেজমেন্ট এবং হাই-স্পিড ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও একাডেমিক কাউন্সিলের সচিব প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পর ৩৩ বছর পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান ছিল না। বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তাঁর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবারই প্রথম ৫ বছর মেয়াদি সময়োপযোগী একটি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। যা আজ একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানে ১২টি লক্ষ্য এবং প্রতিটি লক্ষ্যের জন্য পৃথক উদ্দেশ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়াও একাডেমিক কাউন্সিলের এ সভায় ক্রেডিট কনভার্সন ফর স্টুডেন্ট মোবিলিটি, খুলনা ইউনিভার্সিটি ডুয়েল, ডাবল এন্ড জয়েন্ট ডিগ্রি প্রদানের পলিসিসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুমোদন দেওয়া হয়।#