1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ওবায়দুল কাদের ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাতের আশির্বাদপুষ্টে বেপরোয়া ছিল এনায়েত করিম রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল ও গুলি উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিভিষণ সীমান্তে ১৭ জন বাংলাদেশী কে পুশ ইন বিএসএফ কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন আটক বাঘায় মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৪জন রাজশাহী মহানগরীতে পরিত্যক্ত রকেট লাঞ্চার উদ্ধার, আরএমপি বোম ডিসপোজাল ইউনিট দ্বারা নিষ্ক্রিয় মোহনপুরে কৃষি অফিসার এম. এ. মান্নানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে ঢেউটিন, শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান শিবগঞ্জে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ পঞ্চগড়ে ভ্রাম্যমান আদালত ও সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করায় ২জনের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন আটক

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৩২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
৥ শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি !!!
কুষ্টিয়া শহরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৮টায় কালীশংকরপুর এলাকার সোনার বাংলা মসজিদ-সংলগ্ন একটি বাসায় তিন ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে সহযোগীসহ তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তারা বলেছে, বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফয়সাল মাহমুদ, কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ওই ভবনের ভাড়াটিয়া ও আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, আজ আমাদের কোনো অভিযান ছিল না। হয়তো অন্য কোনো বাহিনী করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ দুজনকে আটকের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি কে বা কারা, কাকে আটক করেছে। তবে খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনই নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারছি না আমরা।
কালীশংকরপুর এলাকার ওই বাসার ভাড়াটিয়া সানজিদুর ও ইভান বলেন, তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবনের নিচতলা ফাঁকা ছিল। প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের এই বিল্ডিংয়ের পেছনের বাসার মালিকের ছেলে বাসাটি ভাড়া নিয়ে তাদের উঠান। যে দুজন এই বসাতে থাকতেন তারা খুব বেশি চলাফেরা করতেন না। তাদের সঙ্গে আমাদের মেলামেশা ও পরিচয় ছিল না। তবে পাশের ভবনের মালিক তার আত্মীয় পরিচয় দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তারা ব্যাবসা করবে এবং এখানে থাকবে। এরপর থেকেই তারা দুজন এখানে থাকতেন।
আজকে কী ঘটনা ঘটেছিল, এ প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ভোর ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়। দরজা ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা পাশের ভবনের মালিকের ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন। আমরা জানতে পেরেছি, সুব্রত বাইন নামে একজনকে সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে। সুব্রত বাইনের চেহারার সঙ্গে মিলও খুঁজে পেয়েছি আমরা। অভিযানে অংশ নেওয়া কয়েকজন আমাদেরকে তার নামও বলেছিলেন।
ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় কয়েকজন বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ৩ ঘণ্টা ধরে সেখানে অভিযান চালিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে মেস ভাড়া দেওয়া হয়। যে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে, সেটির সামনে পৌরসভার সাইনবোর্ডে বাড়ির মালিকের নাম লেখা মীর মহিউদ্দিন। তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মেসে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ১৮ জন ছাত্র থাকেন।
কালীশংকরপুর এলাকার ওই বাসার ভাড়াটিয়া শাহীন বলেন, নিচতলায় এই বাড়ির পেছনের বাড়ির এক স্থানীয় বাসিন্দা দুই মাস আগে ভাড়া নেন। দেড় মাস আগে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এ বাসায় তাদের উঠান। নিচতলায় কী হয় বা কারা থাকেন, তা কখনো দেখেনি আমরা। তবে একজনকে কয়েকদিন দেখেছি, কাপড় রোদে দিচ্ছেন এবং বাইরে থেকে খাবার আনছেন। তার সঙ্গে সুব্রত বাইনের চেহারার মিল রয়েছে। অভিযানে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেছেন, তিনিই সুব্রত বাইন।
তিনি আরও বলেন, আজ ভোর ৫টার দিকে বাড়ির সামনে সেনাবাহিনীর ৫ থেকে ৬টি গাড়ি আসে। গাড়ির বহরে একটি কালো মাইক্রোবাসও ছিল। প্রায় ৫০ জন সেনাসদস্য বাড়ির তালা খুলতে বলেন। তালা খোলার পর তারা দোতলা ও তিনতলায় ওঠেন। এরপর মেসের সব বাসিন্দাদের একটি কক্ষে রাখেন। এ সময় তারা মেসের ছাত্রদের বলেন, ‘তোমাদের কোনো ভয় বা সমস্যা নাই। তোমরা বসে থাকো। এখানে অভিযান চলছে।’ সেনা কর্মকর্তা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন বলে ছাত্ররা জানান।
মেসের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে নিচতলায় তল্লাশি চলে। ৮টার কিছু সময় পর কালো মাইক্রোবাসটি একদম গেটের সামনে চলে আসে। নিচতলা থেকে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে হাতকড়া পরা ও মাথায় গামছা বাঁধা অবস্থায় গাড়িতে তোলা হয়। আরেক যুবকের কোমরে ও শরীরে দড়ি দিয়ে বাধা ছিল।
ছাত্রদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেসের পেছনের বাড়িতে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা আটকানো পাওয়া যায়। একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া মিলেনি।
সুব্রত বাইন বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত অপরাধচক্রের নেতা। তাকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০টি খুনের মামলা রয়েছে। ২০০৩ পর্যন্ত সুব্রত বাইন ছিলেন ঢাকার অপরাধ জগতের প্রভাবশালী চক্র সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান। ১৯৯১ সালে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে হত্যার মধ্য দিয়ে নামকরা সন্ত্রাসী হিসেবে সুব্রত বাইনের অভিষেক হয়। তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় যে ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, সুব্রত বাইন তাদের অন্যতম। পুলিশের হাতে আটক হওয়া এড়াতে তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পশিচমবঙ্গে তিনি ব্যবসাও গড়ে তোলেন। জমি কিনে সেখানে বাড়ি বানান।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট