শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় যুবদল নেতার বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অত্যাধুনিক রিভলবার, দুই রাউন্ড তাজা গুলি এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে।
মঙ্গলবার (২০ মে) ভোররাতে ভেড়ামারা পৌরসভার বামনপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর কুষ্টিয়া ইউনিট ও ভেড়ামারা থানা পুলিশ। টার্গেট ছিল ভেড়ামারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রুবেল-এর বাসভবনের পরিত্যক্ত একটি ঘর। সেখানেই খড়কুটোর নিচে মাটির কাছে মেলে অস্ত্রের গচ্ছিত সম্ভার—একটি অত্যাধুনিক রিভলবার, দুটি তাজা গুলি, একটি হাত কুড়াল ও একটি বল্লম।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বুলু খাতুন জানান, অস্ত্রগুলো খড়কুটোর নিচে গোপনে রাখা ছিল।
ঘটনার পর পরই বিষয়টি ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রুবেলের চাচা জানবার হোসেন দাবি করেন, ‘এটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতা সুরুজ ও বাবলু আমার ভাতিজাকে ফাঁসাতে রাতের অন্ধকারে জানালা দিয়ে অস্ত্র রেখে যায় এবং তারাই প্রশাসনকে সংবাদ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবার তিন দশক ধরে এই এলাকায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বর্তমানে প্রতিহিংসার রাজনীতি আমাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।’
বিএনপি নেতাদের এ অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক সুরুজ। তাঁর দাবি, ‘আমি নিজে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেই যুক্ত ছিলাম। যৌথ বাহিনীর এ অভিযান নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
যুবদল নেতা রুবেল সম্পর্কে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি একজন মুদি দোকানদার এবং এলাকায় তার কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের রেকর্ড নেই।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।#