ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি..............................................................
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কাঁচা রাস্তা ও কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ( এলসিএস) প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকল্পে কর্মরত মহিলা শ্রমিকদের এক মাসের বেতন না দেয়া, সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়ায় গড়িমসি সহ বিভিন্ন অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান চেয়ে কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মন্ডল এই অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাগেছে, এলসিএস প্রকল্পের আওতায় তারা ১লা জুলাই ২০১৯ থেকে ৩০ জুন ২০২১ তিন বছর মেয়াদকালীন সময়ে হতদরিদ্র মহিলাদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে কাজ সম্পন্ন করে। এলসিএস কর্মীদের এক মাসের বেতন না দেয়া, একাউন্ট রিনিউ করার নামে ১হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণসহ সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করার অভিযোগ ওঠেছে প্রকল্পের কার্যসহকারি ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে।
এলসিএস প্রকল্পে কাজ শেষ করা ১৫ জন দরিদ্র মহিলা জানান, প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের শেষ করার পর তাদের মাসিক বেতন ও সঞ্চয়কৃত অর্থ ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গরিমসি করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অফিসের কাজের কথা বলে একেকজন মহিলার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। পরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত (১৭ অক্টোবর) তাদের সঞ্চয়ের টাকা উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে ফেরত দিলেও এক মাসের বেতনের টাকা ফেরত দেয়নি। প্রকল্পের নারী কর্মী আরজিনা বেগম জানান প্রথম তিন মাসের মধ্যে দুই মাসের টাকা আমাদের দিচ্ছে এবং এক মাসের টাকা বস নিচ্ছে। তিন বছর কাজ করেছি একাউন্ট রি-নিউ করার জন্যে প্রথম বার ৩০০ টাকা দ্বিতীয় বার ৬০০ টাকা করোনার সময় ১৫০০টাকা নিয়েছে।
নারী কর্মী লাইলী বেগম জানান, আমাদের হিসাবে জমা টাকা ১ লক্ষ ৮ হাজার। আমাদের কে দিছে ১লক্ষ ৫ হাজার। বাকি টাকা তারা আত্মসাত করেছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মন্ডল কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে অভিযোগ দায়েরর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী মহিলারা প্রকল্পটির কাজের মেয়াদ শেষে, তাদের জমাকৃত টাকা নিতে গেলে অফিস কতৃপক্ষ গরিমসি করে এবং একমাসের কাজের টাকা তারা পায়নি এবং নতুন আরো ১৫ জন কর্মী নিয়গে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, তাদের দৈনিক সঞ্চয়ের পরিমাণ ৮০ টাকা। ২০ টাকা অতিরিক্ত কেন নিয়েছে তা আমার জানা নেই। ১ মাসের বেতনের টাকা পরিশোধ না করার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান। এবিষয়ে কুড়িগ্রামের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, আমি অভিযোগের বিষয়ে অবগত নই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর