1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

ঈশ্বরদী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব-রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ক্যাপশন: অনিয়ম ও ভোগান্তিতে অতিষ্ট ভুক্তভোগীরা সম্প্রতি শিবগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের খাস কামরায় এভাবেই মারপিট করে আহত করে হাসপাতালে পাঠায়।

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি……………………………..

ঈশ্বরদী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব-রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে দলিল প্রতি দু’তিন হাজার করে টাকা না দিলে দলিলে স্বাক্ষর না করা,অফিস সময়ে না এসে দুপুর বারোটা বা তারও পরে অফিসে কাজে যোগদান করা, জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানাভাবে নাজেহাল হওয়া, বয়স্ক ও অসুস্থ ক্রেতা-বিক্রেতাদের হয়রানী করা, সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে পায়খানা ও প্রস্রাব খানা না থাকায় জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হওয়া,অফিস সময়ে এজলাস ভর্তি ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকদের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় জমি রেজিষ্ট্রি না করে অফিস কক্ষে বিশেষ ব্যক্তিদের নিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধাজনক কাজ করা ও সাংবাদিকদের অভিযোগের তথ্য দিতে অস্বীকার করে জেলা সাব-রেজিষ্টার (ডিআর) এর নিকট থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়াসহ নানা প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাঁপাইনবাব গঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে অফিস চলাকালিন সময়ে অফিস কক্ষে ভুক্তভোগী কর্তৃক মারপিটের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া এবং ঈশ্বরদী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বর্তমান সাব-রেজিষ্টার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী জমি ক্রেতা-বিক্রেতা,দলিল লেখক ও সাংবাদির দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।

সূত্রমতে,ভৌগলিক ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মুখী কর্মকান্ডের কারণে ঈশ্বরদী ইপিজেড ও নির্মানাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কারণে ঈশ্বরদীতে চাকরী ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার কারণে জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে মধ্য সত্বভোগী জমি ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যাও। এসব কারণে এখানে জমি কেনাবেচা বেশী হয়ে থাকে। এক কথায় ঈশ্বরদী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ অবস্থায় সম্প্রতি এই অফিসের দায়িত্বরত সাব-রেজিষ্টার আফসার আলীকে ঈশ্বরদী অফিস থেকে বদলী করে দেওয়ার পর পাবনা অফিসের সাব-রেজিষ্টার ইউসফ আলীকে ঈশ্বরদী অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ০৩.০১.২০২৪ ইং তারিখে ঈশ্বরদী অফিসে যোগদান করেন। যোগদানের পর সংশ্লীষ্টদের সাথে পরিচয় পর্ব শেষে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। কিন্তু ঈশ্বরদীবাসীর দূর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, তিনি যোগদানের দু/তিন দিন পর থেকেই নির্ধারিত অফিস সময় পার করে কোন দিন এগারোটা, কোনদিন বারোটা আবার কোন দিন দুপুর একটা বা তারও পরে অফিসে এসে কাজ শুরু করেন। এতে প্রায় অফিস দিনই দলিল লেখকরা দলিল লিখে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে নিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে থাকেন। শুধু কি তাই ? বিলম্বে অফিসে আসার কারণে জমি রেজিষ্ট্রি কাজের সাথে জড়িত সকলকে দীর্ঘ সময় ধরে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তারপরও বসার কোন ব্যবস্থা নেই ।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তির শিকার হতে হয় বয়স্ক নারী,পুরুষকে। এমনিতেই বিলম্বে অফিসে আসার কারণে জমি রেজিষ্ট্রি কাজের সাথে জড়িতদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় তার ওপর দলিল প্রতি ২/৩ তিন হাজার করে টাকা না দিলে নানা অজুহাত দেখিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করা বন্ধ থাকে। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পাওয়ার পর কয়েকদিন অফিস তারিখে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একদল সাংবাদিক অফিস সময়ে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে অপেক্ষা করে প্রথম দিন বেলা সাড়ে এগারোটায়ও না পেয়ে ফিরে আসেন। পরেরদিন একইভাবে অফিস সময়ে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে অপেক্ষ করতে করতে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্তও তাকে না পেয়ে চলে যান। পরে আবারও ঐ অফিসে গিয়ে দুপুর আড়াইটায় তার খাস কামড়ায় বিশেষ এক ব্যক্তিকে নিয়ে গল্প করতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের দেখার সাথে সাথেই তিনি কথা না বলেই ব্যস্ততা শুরু করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি তথ্য দিতে অস্বীকার করে বলেন,কোন তথ্য জানতে হলে পাবনা অফিসের ডিআরের নিকট জানতে হবে। প্রায় ২৫ দিন তার কর্মকালিন সময়ে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত প্রায় ১৬’শ’ দলি রেজিষ্ট্রি করে অন্ততঃ ৩২ লাখ টাকা  অবৈধ আয় করেছেন ঐ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঈশ্বরদী সাব- রেজিষ্টার ইউসুফ আলী সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,সরকারী ফিস ছাড়া আমি বা অফিসের কেউ কোন প্রকার অতিরিক্ত টাকা নেয়না। জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের বসার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধার বিষয়ে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।#

 

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট