জিয়াউল কবীরঃ রাজশাহীতে বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর লক্ষিপুরে অবস্থিত ডাক বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুল ইসলাম। অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন ডাক জীবন বীমার রিজিওনাল ম্যানেজার খন্দকার মাহবুব হোসেন, রাজশাহী জিপিও সিনিয়র পোস্টমাস্টার মাহফুজুর রহমান, ডিপিএমজি রাকিব বিশ্বাস প্রমুখ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন- ডাকপিয়ন, ডাকঘর ও চিঠির যুগ একসময় মানুষের আবেগ ও যোগাযোগের প্রতীক ছিল। সেই সময় মানুষ দিন গুনে অপেক্ষা করত প্রিয় জনের চিঠির পাতায় লেখা অভিব্যক্তি। এখন যদিও প্রযুক্তির উন্নয়নে যোগাযোগের ধরন পাল্টে গেছে, তবুও সরকার ও ব্যক্তিগত কাজে এই ডাক বিভাগের গুরুত্ব এখনো কমেনি। সরকার সরকারি ডাক বিভাগকে সময়োপযোগী করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, “চিঠিপত্রের আদান প্রদান কমে গেলেও ডাক বিভাগের সেবা থেমে নেই। ই-কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটি এলাকায় ডাকঘরের অবকাঠামো ও জনবল আছে, যা গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলে পণ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।” হিমায়িত খাদ্য থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পর্যন্ত ডাক বিভাগের মাধ্যমে সহজে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এর আগে সকালে সাড়ে ৭টায় নগরীর ‘জনগণের জন্য ডাক, স্থানীয় পরিসেবা, বৈশ্বিক পরিসর’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লক্ষিপুরে অবস্থিত ডাক বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ডাক বিভাগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এতে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক জীবন বীমা প্রতিনিধিসহ ই-কমার্স ও ডাক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে অংশ নেন। দিবসটি উপলক্ষে পোস্টাল কমপ্লেক্স নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।#