# মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি, অভয়নগর………………………………………………..
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সাব পোষ্ট অফিস গুলোর কার্যক্রম এখন অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হয়েছে যা দেখার কেউ নেই। উপজেলার নওয়াপাড়া পোষ্ট অফিসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব সাব পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম একেবারে নেই বললে চলে। যদিও পোষ্ট অফিসের জন্য সরকারি ভাবে বিভিন্ন সময় লাখ লাখ টাকা ব্যায় করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে্য পোষ্ট অফিসের উন্নতির জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ নানান সুযোগ সুবিধা বরাদ্দ থাকলেও সবকিছু এখন পোষ্ট অফিস থেকে হাওয়া হয়ে গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, পোষ্ট অফিসের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত অধিকাংশ মালামাল পোষ্ট মাস্টারদের যোগসাজশে বিক্রি করে খেয়ে ফেলেছে অথবা কোন কোন পোষ্ট মাষ্টার তার নিজ বাড়িতে নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে। এমনই এক পোষ্ট অফিসের সন্ধান পাওয়া গেছে উপজেলার ভাঙ্গাগেট বাজারে অবস্থিত পোষ্ট অফিসের সাইনবোর্ড আছে কিন্তু কার্যক্রম নেই। ওই পোষ্ট অফিসের ঘরটিতে একটি সেলুনের দোকান বসানো হয়েছে। ফলে ওই পোষ্ট অফিস এখন মানুষের চুল দাড়ি কাটার স্থানে পরিনত হয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই পোষ্ট অফিসের মাষ্টার আলামিন সরকারি ভাবে পোষ্ট অফিসের নামে বরাদ্দ কম্পিউটারসহ যাবতীয় জিনিসপত্র লোপাট করে বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন। সূত্রে আরো জানা গেছে, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কর্মকান্ড চলমান থাকা অবস্থায় এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোন বিবেকবান মানুষের মেনে নেওয়াটাও কষ্টকর।
সরেজমিনে দেখা যায়, পোষ্ট অফিস ঘরে একজন সেলুনের কাজ করছে তার নাম জিঙ্গেস করলেই সে নাম বলতে রাজি হয়নি এবং সে জানায় আমি কিছু বলবোনা আপনারা পোষ্ট মাষ্টারের সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গাগেট পোষ্ট অফিসের মাষ্টার আলামিন বলেন, অফিস ঘর ভেঙ্গে গেছে, কম্পিউটারসহ অফিসের জিনিসপত্র ইমরান নামের এক ছেলের কাছে আছে, সে কি করেছে আমি বলতে পারবোনা। আমি এখন ব্যস্ত আছি আপনাদের সাথে কথা বলতে পারবোনা।
এবিষয়ে নওয়াপাড়া পোস্ট অফিসের পোষ্ট মাষ্টার প্রদীপ সরকার বলেন, পোষ্ট অফিস আছে নিজস্ব কোন ভবন নেই, অফিস ভাড়া নেওয়া সরকারি ভাবে কম্পিউটারসহ যাবতীয় সব মালামাল তো পোষ্ট অফিসে দেওয়া আছে তা কি হয়েছে বলতে পারবোনা, আমি নতুন আসছি।এলাকাবাসি তদন্ত সাপেক্ষে দক্ষিণাঞ্চল পোস্টমাস্টার জেনারেলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#